গ্রন্থাগারে সংবাদপত্র নেওয়ার ব্যাপারে সরকারি ‘ফতোয়া’র প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দুই জেলার বিদ্বজ্জনেরা। বিষয়টি মানতে পারছেন না বিভিন্ন গ্রন্থাগারের কর্মীরাও। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত। ফলে বিরোধিতাও করতে পারছেন না।
নদিয়ায় বিভিন্ন গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের কাছে ওই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া শুধু নয়, বুধবার থেকে তা কার্যকর করাও শুরু হয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদে অবশ্য শুক্রবার থেকে ওই নির্দেশ পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় মিত্র বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে আমাকে। আমি শুক্রবার মুর্শিদাবাদ ফিরে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” নদিয়া জেলা গ্রন্থগারিক মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি ওই নির্দেশ পেয়েছি। ওই নির্দেশে যে সব সংবাদপত্রের নাম রয়েছে তার মধ্যে দু’টি কাগজ ছাড়া বাকিগুলি আপাতত নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি কাগজগুলি রাখার ক্ষেত্রে পরিচালন সমিতির বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” লালগোলা টাউন গ্রন্থাগারিক তথা পশ্চিমবঙ্গ সাধারণের গ্রন্থাগার কর্মী সমিতি ইউনিয়নের সদস্য দীপক মিশ্র বলেন, “এখনও ওই নির্দেশিকা পাইনি। তবে এত দিন পাঠকের চাহিদা মেনে বহুল প্রচারিত দৈনিক বাংলা সংবাদপত্রের সঙ্গে একটি ইংরেজি সংবাদপত্র রাখা হয়। এখন সরকার যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের উপরে চাপিয়ে দেয়, তাহলে কর্মী হিসেবে মানতে বাধ্য।”
প্রসঙ্গত গ্রন্থাগারগুলিতে পুস্তক ও পত্রপত্রিকা খাতে সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করে সেই টাকায় সংবাদপত্র কেনা হয়। মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, “এখন যদি কোনও বহুল প্রচারিত বাংলা সংবাদপত্র রাখা হচ্ছে না কেন বলে পাঠকরা মতামত দেয়, সে ক্ষেত্রে সেই মতামত বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট দফতরে তা পৌঁছে দেওয়া হবে।” কৃষ্ণনগর পাবলিক গ্রন্থগারিক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, “নির্দেশিকা পেয়েছি। কিন্তু এখন সব কাগজই রাখছি। কোন সংবাদপত্রগুলি রাখা হবে তা পরিচালনা সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।” |