রিয়াল মাদ্রিদ-৩ (বেঞ্জিমা-২, কাকা)
আপোয়েল-০ |
অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল মিশেল প্লাতিনির কথা! এত দিন বিশ্বাস করতাম না। শেষ চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্য ধারণাটা বদলে ফেললাম। বুঝলাম, ইউরোপের কোনও দলই ছোট নয়। প্রত্যেকের মধ্যেই লুকিয়ে আছে দ্রুত উঠে আসার অসম্ভব ক্ষমতা।
মঙ্গলবার রাতে তাই বাড়িতে বসে রিয়াল মাদ্রিদ-আপোয়েলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলা দেখতে দেখতে প্লাতিনির কথাই বার বার মনে পড়ে যাচ্ছিল। ম্যাচটা হয়তো রিয়াল ৩-০ জিতেছে। তবে অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলল আপোয়েল। বিশেষ করে ম্যাচের প্রথম এক ঘণ্টা। শুধু গতি আর দমের দাপটেই আটকে রাখল ন’বারের উয়েফা চ্যাম্পিয়নদের। আপোয়েলের খেলা দেখে যে মানুষটা সবচেয়ে বেশি খুশি হবে, তার নাম প্লাতিনি। সত্যিই তো। দেখে একবারও মনে হচ্ছিল না, প্রথম বার কোয়ার্টারে খেলছে তারা। |
আপোয়েলের প্রশংসা করছি বলে রিয়াল মাদ্রিদকে কিন্তু ছোট করছি না। আসলে দু’টো দলের মধ্যে অভিজ্ঞতা এবং গুণগত মানের পার্থক্য রয়েছে। আর মোরিনহোর মতো ধুরন্ধর কোচ সেই দুর্বল জায়গাতেই আঘাত করেছে। তাই বলতে দ্বিধা নেই যে যোগ্য হিসেবেই জিতেছে তার দল। বিরতির পরে মোরিনহোর দুুটি ফুটবলার পরিবর্তনেই বদলে গেল গোটা ম্যাচের রং। ইগুয়াইনের বদলে কাকা এবং ফাবিওর বদলি মার্সেলো। অনবরত বল সরবরাহের কাজটা যেটা একা সামলাচ্ছিল ওজিল, সেখানে যোগ দিলেন মার্সেলো। আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, কাকা এবং বেঞ্জিমা মিলে ত্রিভুজ ফাঁদ গড়তেই থেমে গেল আপোয়েলের নাছোড় মনোভাব। বেঞ্জিমার দু’টো গোলে সেই ত্রিভুজের ছোঁয়া দেখা গেল। প্রথম দিকে প্রচুর সুযোগ নষ্ট করছিল বেঞ্জিমা। বারবার গোলের খুব কাছাকাছি পৌঁছেও খালি হাতে ফিরেছে। তবে বেঞ্জিমার গোলের খিদেটাই শেষ পর্যন্ত জেতাল। ও যে কত বড় ফুটবলার, সেটা এখানেই প্রমাণ হয়।জাবি আলোন্সোর না থাকাটাও শুরুতে ভোগাল রিয়ালকে। ম্যাচের স্কোরলাইনে অবশ্য তার প্রভাব পড়তে দেয়নি মোরিনহোর অভিজ্ঞতা। যেখান থেকে আপোয়েলের দম ঘাটতির পালা শুরু, সেখান থেকেই খেলা শুরু রিয়ালের। কাকার গোলটাও এই সময়েই। মার্সেলোর ব্যাক পাস থেকে। কাকা নামতেই বদলে গেল রিয়াল। আমার ধারণা, লা লিগায় রিয়াল-বার্সেলোনা লড়াইয়ের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও জমে উঠবে মেসি-রোনাল্ডো যুদ্ধ। |