|
|
|
|
সরকারি বই পৌঁছয়নি, ছাত্র-বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও সরকারি পাঠ্যবই এসে পৌঁছয়নি শিক্ষাকেন্দ্রে। প্রতিবাদে বুধবার এসআই অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রীরা। শুধু মেদিনীপুর সদর ব্লকেই নয়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রেই এখনও সরকারি পাঠ্যপুস্তক পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। এ দিন কনকাবতী মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীরা সদর গ্রামীণ চক্রের এসআইয়ের কাছে এসে পাঠ্যপুস্তক দেওয়ার দাবি জানায়। বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছিল সৌমেন সামন্ত, সুস্মিতা বেরা, সুচরিতা বারিকরা। সুস্মিতার কথায়, “স্কুলে যে সব বই দেওয়ার কথা ছিল, তার কোনওটাই পাইনি। বই দেওয়ার কথা শিক্ষকদের বলেছি। ওঁরা বলছেন, ‘বই এলেই দেওয়া হবে’। কবে আসবে, সে ব্যাপারে কিছু বলছেন না।”
কনকাবতী মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে প্রায় ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। শিক্ষাকেন্দ্র সূত্রে খবর, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির সরকারি পাঠ্যপুস্তক এখনও এসে পৌঁছয়নি। এর ফলে সমস্যা হচ্ছে। এই কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক কাশীনাথ মণ্ডল বলেন, “সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখনও পর্যন্ত সুরাহা হয়নি। তবে, এ দিন এসআইয়ের কাছ থেকে আশ্বাস মিলেছে। উনি ৭ দিন সময় চেয়েছেন। তার মধ্যেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন।”
মেদিনীপুর সদর গ্রামীণ চক্রের অন্য মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রগুলিরও প্রায় একই অবস্থা। জেলার বিভিন্ন এলাকাতেই এ বার এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু কেন? জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রয়োজনীয় সংখ্যক সরকারি পাঠ্যপুস্তক এসে না- পৌঁছনোর ফলেই এই অবস্থা। যে সংখ্যক বই এসেছিল, তা ইতিমধ্যেই স্কুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই পৌঁছেছে। এ বার বই এলে তা মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে দেওয়া হবে। সদর গ্রামীণ চক্রের এসআই কুশাঙ্কুর সামন্ত বলেন, “প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাঠ্যপুস্তক না আসার ফলেই এই সমস্যা। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখছি। আশা করছি, শীঘ্র সমস্যার সমাধান হবে।” |
|
|
|
|
|