|
|
|
|
বাসস্ট্যান্ডের ভাড়া বাড়ল মেদিনীপুরে |
রাতে বাস রাখলে বাড়তি টাকা, ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রয়োজনীয় পরিষেবা মেলে না। অথচ বাসস্ট্যান্ডের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে মেদিনীপুর পুরসভা। শুধু তাই নয়, রাতে বাস রাখলেও অতিরিক্ত ফি দিতে হবে। এতদিন রাতের ফি দিতেই হত না। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা। তাঁদের বক্তব্য, বাসস্ট্যান্ডে যে যে পরিষেবা থাকা উচিত, তা নেই। এখানে পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায় না। বাইরে থেকে জল আনতে হয়। পুরসভার অবশ্য বক্তব্য, সবদিক খতিয়ে দেকেই সামান্য ফি বাড়ানো হয়েছে। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কারও একার নয়। পুরসভায় আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটের প্রায় তিনশোরও বেশি বাস যাতায়াত করে। পুরসভা সূত্রে খবর, এখন বাস-পিছু স্ট্যান্ড ফি নেওয়া হয় ৫ টাকা। এ বার তা বাড়িয়ে ১০ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি, রাতে স্ট্যান্ড বাস রাখলে সংশ্লিষ্ট বাস মালিককে ২০ টাকা দিত হবে। সম্প্রতি পুর-কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুরসভা সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে পুরপ্রধান পারিষদদের বৈঠকে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধু স্ট্যান্ড ফি-ই নয়, অ্যাম্বুল্যান্স, শববাহী গাড়ি প্রভৃতি ক্ষেত্রেও কিছু ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হওয়ার কথা। |
|
হতশ্রী মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডের পরিবেশ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। যত্রতত্র আবর্জনা জমে থাকে। সময় মতো পরিষ্কার হয় না। যাত্রীরা নাকে রুমাল চেপে যাতায়াত করেন। প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ আসেন এখানে। অধিকাংশ সময় বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের এলাকা অপরিচ্ছন্ন থাকায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। যাত্রীদের বক্তব্য, বাসস্ট্যান্ড পরিষ্কার রাখার দিকে পুরসভার কোনও নজর নেই। একই বক্তব্য বাস মালিকদের। বাস ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক শিবু সরখেল বলেন, “হঠাৎ স্ট্যান্ড ফি বাড়ানো হল। রাতে বাস রাখতে গেলেও অতিরিক্ত ফি দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।” তাঁর কথায়,“ পরিষেবা মিলছে না। বাস ধোয়ার জন্য জলও বাইরে থেকে আনতে হয়। পুর-কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পরিষেবার বন্দোবস্ত করলে হয়তো ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নিতেন।”
একই বক্তব্য জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি-র। তাঁর কথায়, “অনেক দিন হল বাস ভাড়া বাড়েনি। অথচ, সবকিছুরই দাম বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়তি ভাড়া দেওয়া সম্ভব নয়।” অন্য দিকে, বাসস্ট্যান্ড এলাকার পরিবেশ প্রসঙ্গে এক বাস মালিক বলেন, “বহু মানুষ এখানে বাস ধরতে আসেন। স্ট্যান্ডের আশপাশ এলাকা অপরিচ্ছন্ন থাকলে তাঁদের সমস্যা পড়তে হয়। যাঁরা পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাঁরাও সমস্যা পড়েন।” তাঁর বক্তব্য, “এই এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার করার কথা আগেও বহুবার পুর-কর্তৃপক্ষকে বলেছি। এই দাবিতে পথ অবরোধও হয়েছে। তা-ও পরিস্থিতির তেমন হেরফের হয়নি।” পুরসভা এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। |
|
|
|
|
|