টুকরো খবর
তৃণমূলের সভা পিংলায়
পিংলা বিডিও অফিসের সামনে সভা করল তৃণমূল। মঙ্গলবার পিংলা ব্লক তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে সভা শেষে বিডিও-কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংখ্যালঘুদের জন্য মাদ্রাসা তৈরি, সংখ্যালঘু এলাকায় পানীয় জল, বিদ্যুৎ, রাস্তার উন্নয়নের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। তফসিলি জাতি ও উপজাতি শংসাপত্র দ্রুত দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক মহম্মদ মহসিন বলেন, “মূলত, উন্নয়নের দাবিতেই সভা করা হয়েছে। বর্তমান সরকার সব সময় উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছে। ব্লক স্তরে যাতে সেই ধারা বজায় থাকে সেই দাবি জানানো হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এই সভার মাধ্যমে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের একটি প্রস্তুতি সভাও করে নিল তৃণমূল। তাছাড়া পিংলা ব্লক দীর্ঘদিন ধরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। এবারের সভায় সব গোষ্ঠীর নেতৃত্বই উপস্থিত ছিলেন বলে মহসিনের দাবি।

বিদ্যুৎ-বিক্ষোভ, বন্ধ রাজ্য সড়ক
ঘনঘন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। বুধবার সকালে কেশপুরের আমড়াকুচিতে প্রায় দু’ঘন্টা অবরোধের জেরে মেদিনীপুর-কেশপুর সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। একের পর এক বাস-লরি দাঁড়িয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন পথচলতি সাধারণ মানুষজন। পরে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে অলোচনা করে অবরোধ তোলে। মেদিনীপুর-কেশপুর রাজ্য সড়ক দিনের অধিকাংশ সময়ই ব্যস্ত থাকে। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা প্রভৃতি রুটের বাস চলাচল করে। দূরপাল্লার লরিও চলে। বুধবার সকালে গ্রামবাসীরা সড়ক অবরোধ করেন। তাঁদের অভিযোগ, দিনের মধ্যে সামান্য সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে। বাকি সময় লোডশেডিং। গরমে কষ্টর পাশাপাশি চাষের কাজও ব্যাহত হচ্ছে। পাম্প চালিয়ে জল তোলা যাচ্ছে না। হাতে চাষের সরঞ্জাম নিয়ে এসেছিলেন অবরোধকারীরা। পুলিশ এসে আলোচনায় বসে। আশ্বাস দেয়, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। এই আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। বিদ্যুৎ দফতরের বক্তব্য, কেশপুর সাব স্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। এখন তো বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে তো কাজ করা সম্ভব নয়। সেই জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেই কখনও কখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিদ্যুৎ দফতরের মেদিনীপুর সার্কেল ম্যানেজার সনৎ বিশ্বাস বলেন, “সাব স্টেশনের কাজ শেষ হলে আর সমস্যা হবে না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনায় মন্ত্রী
‘সার্ধ-শতবর্ষে স্বামী বিবেকানন্দ’ শীর্ষক এক জাতীয় আলোচনাচক্র শুরু হল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইউজিসি’র সহায়তায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের উদ্যোগেই এই আলোচনাচক্র। বুধবার এর উদ্বোধন করেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, তমলুকের জেলা ও দায়রা বিচারক শ্যামল গুপ্ত, মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী সুনিষ্ঠানন্দ, বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রবিন পাল। কাল, শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এই আলোচনাচক্র। এ দিন বক্তারা স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। আত্মজাগরণের ক্ষেত্রে, মানুষ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিবেকানন্দ কতটা প্রাসঙ্গিক, তা-ও বক্তব্যে উঠে আসে। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান তথা এই আলোচনাচক্রের আহ্বায়ক বাণীরঞ্জন দে, যুগ্ম-সহ আহ্বায়ক মনাঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায়, সরোজকুমার পান।

মৃতদেহ উদ্ধার
মঙ্গলবার খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকার লক্ষ্মীচক গ্রামের পাশ থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম হৃষিকেশ ঘোষ (৫২)। হৃষিকেশবাবুর বাড়ি লক্ষ্মীচকেই। গ্রামের পাশেই পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। শরীরের কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের অনুমান, প্রথমে মারধর করে পরে শ্বাসরোধ করা হয়ে থাকতে পারে।

বধূর অপমৃত্যু
এক বধূর অপমৃত্যু হল বেলদার সাউড়িতে। মৃত শিবানী মান্না (২২)-র অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে খুন করে পরে মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেয়। বুধবার সকালে সাউড়ির আগরবাড় এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকেই ওই বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এটি আত্মহত্যা না খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

চাঁদরায় মাইন
চাঁদরায় মাইন উদ্ধার। নিজস্ব চিত্র
চাঁদরা-কলসিভাঙা রাস্তার পাশ থেকে একটি ল্যান্ডমাইন উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী। মেদিনীপুর সদর ব্লকের আমঝর্না এলাকায় চাঁদরা-কলসিভাঙা রাস্তার মাঝামাঝি থেকে বুধবার ল্যান্ডমাইনটি উদ্ধার হয়। মাইনটি মাটির নীচে পোঁতা ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যৌথ বাহিনী। পরে মাটি খুঁড়ে মাইনটি উদ্ধার করা হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.