নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হাইকোর্টের নির্দেশে লিকুইডেটর সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানার দখল নিতে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় লিকুইডেশন অফিস থেকে এ খবর ডানলপ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে হুগলি জেলা পুলিশকেও। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডানলপকে লিকুইডেশনে পাঠান। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, কোম্পানি, শ্রমিক, ঋণদাতা ও জনস্বার্থে ডানলপে লিকুইডেটর নিয়োগ করা হল।
কোম্পানির দখল নেওয়ার পরে সেখানে কী কী রয়েছে তার তালিকা তৈরি করবেন লিকুইডেটর। দেখবেন আগে কোন কোন জিনিস ছিল এবং এখন কী আছে। তৈরি করবেন কোম্পানির জমি ও কারখানার যন্ত্রপাতির তালিকা। সমস্ত সম্পদ যেখানে-যে-ভাবে রয়েছে, তার ছবি তুলবেন। এবং যাতে এখন থেকে আর কোনও কিছু চুরি বা সরানো না হয় তারও ব্যবস্থা করবেন।
প্রাথমিক ভাবে এ কাজ শেষ করে তিনি বর্তমানে সাহাগঞ্জে ডানলপের কত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, তা হাইকোর্টকে জানাবেন। দখল নেবেন কোম্পানির সমস্ত কাগজপত্রেরও। তা থেকে তিনি যে-সম্পদ ইতিমধ্যে বিক্রি বা সরিয়ে ফেলা হয়েছে, তার সন্ধান করবেন। এই তালিকা তৈরির পরে লিকুইডেটর আবেদনকারী মাদুরা কোট্সের পাওনা টাকা কী ভাবে মেটানো যায়, তা স্থির করবেন। এর মধ্যে আগামী মঙ্গলবার অন্য পাওনাদারদের দায়ের করা ১১টি মামলার শুনানি শুরু হবে।
এ দিকে, ডানলপ কর্তৃপক্ষের তরফে আজই বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ চাওয়া হবে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ডানলপ স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি ওই আবেদন খারিজ করেছেন। এবং জানিয়েছেন, ২,০০০ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি কোনও অবস্থাতেই ডানলপ কর্তৃপক্ষের হাতে দেওয়া যায় না। |