ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় পাঁচতলা রিসর্ট দেখে রীতিময় বিষ্ময় প্রকাশ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবার মন্ত্রী ডুয়াসের্র বিভিন্ন এলাকায় পর্যটনের নির্মিয়মাণ প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন। মূর্তি নদীর ধারে পাঁচতলা ওই বেসরকারি রিসর্ট দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় পরিবেশ রক্ষা করে পর্যটনের উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানে জঙ্গল লাগোয়া এলাকাতে কীভাবে পাঁচতলা রিসটর্র্ তৈরি হল বুঝতে পারছি না। দ্রুত রিসর্টের সমস্ত কিছু খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। এমন হলে তো পরিবেশ বাঁচানো মুশকিল।”পাশাপাশি, নদীর চর দখল করেও রিসর্ট তৈরি হতে দেওয়া হবে না বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। এদিন প্রথমে ধূপঝোরার নির্মিয়মাণ পর্যটক আবাসের কাজ ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। |
তিনি জানান, পর্যটক আবাসটি তৈরি করতে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দিয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। মোট ২৭টি কটেজ তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও কনফারেন্স গল, বেঁস্তোরা, এবং ওয়াচ-টাওয়ার তৈরির কাজ চলছে। খুব দ্রুত কটেজগুলি চালু করা হবে। পাশাপাশি, তিনি এলাকায় প্রচুর গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরে মূর্তি নদীর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মন্ত্রীর চোখে ওই পাঁচতলা রিসর্টটি পড়ে। ধূপঝোড়া মোড়ে পর্যটন দফতরের তৈরি পার্কটিও এদিন ঘুরে দেখেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা মন্ত্রীকে পার্কটির দেখভালের জন্য একজন কর্মী নিয়োগের কথা বলেন। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে লোক নেওয়ার জন্য মন্ত্রীকে তাঁরা প্রস্তাব দেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। গৌতমবাবু বলেন, “মহানন্দা অভয়ারণ্য লাগোয়া চুমুকডাঙিতে হোম ট্যুরিজম গড়ে এলাকাবাসীদের স্বনির্ভর করার জন্য পর্যটন কেন্দ্র গড়া হবে। এছাড়াও মালবাজার ট্যুরিস্ট লজের পরিকাঠামো আরও উন্নত করার কাজ করা হবে। বেশ কিছু প্রকল্পের টাকা এখনও জেলাশাসকের দফতরে পড়ে রয়েছে। সেগুলি অবিলম্বে খরচ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |