ধর্মঘটের জের, এ বার ইস্টারে রফতানির বাজার হারাচ্ছে স্বর্ণশিল্প |
ধর্মঘটের জেরে ইস্টারের বিদেশি বাজার হারাতে চলেছেন ভারতের গয়না ব্যবসায়ীরা। এর ফলে দেশের গয়না শিল্পে রফতানি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে পারে বলে আশঙ্কা জেম অ্যান্ড জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন-এর। এ বারের বাজেটে স্বর্ণশিল্পে একাধিক স্তরে নতুন কর বসানো বা পুরনো করের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। যার বিরোধিতা করে দেশ জুড়ে লাগাতার ধর্মঘটে নেমেছেন সোনা ব্যবসায়ী ও কারিগরেরা। ফলে বর্তমানে দেশে গয়না তৈরি প্রায় পুরোটাই বন্ধ। বিদেশে ভারতের গয়নার চাহিদা ভাল। ইস্টারের সময়ে তা আরও বাড়ে। কিন্তু এ বার ধর্মঘট চলায় রফতানি মার খাচ্ছে, জানান জেম আন্ড জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক বেঙ্গানি। তিনি বলেন, “সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ‘বিদেশ থেকে ৪,৬০০ কোটি ডলার মূল্যের সোনা আমদানি করে বিদেশি মুদ্রার অপচয় হয়েছে।’ কিন্তু, বছরে ভারত থেকে আমরা ৭,০০০ হাজার কোটি টাকার গয়না রফতানি করি। অর্থাৎ রত্নালঙ্কার শিল্প দেশের জন্য ওই পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা আয় করে।” অশোকবাবুর দাবি, “ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের পরেই রফতানির মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় গয়না শিল্প।”
|
মন্দারমণি-তাজপুর উন্নয়নে পরিকল্পনা |
দিঘা-শঙ্করপুরের উন্নয়নে বিশ্বব্যাঙ্ক অর্থ বরাদ্দ করেছে আগেই। এ বার সদ্য অন্তর্ভুক্ত হওয়া মন্দারমণি ও তাজপুরের জন্য বরাদ্দ আদায়ের উদ্দেশ্যে উন্নয়নের পরিকল্পনা তৈরিতে উদ্যোগী হল দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। মঙ্গলবার বিকেলে পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পালের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে পরিকল্পনার খসড়া তৈরি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। প্রকল্প তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ‘আইউইন’ নামে একটি সংস্থাকে। বৈঠকে সংস্থার ব্যবস্থাপক অধিকর্তা দেবাশিস সেনগুপ্ত-সহ সাত প্রতিনিধি ছাড়াও রামনগর ১ ও ২ ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিক রানা বিশ্বাস, সুকান্ত সাহা, দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাস, কমলাকান্ত বেরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সৌমেনবাবু বলেন, ‘‘পযর্টন কেন্দ্র দিঘা ও শঙ্করপুরের উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক ৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সদ্যই পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মন্দারমণি ও তাজপুর। এ বার ওই দুই পযর্টন কেন্দ্রের বিবিধ কাজে অর্থসাহায্য পাওয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পনা খসড়া তৈরি করছি আমরা।”
|
বেতন না পেলে কাজ বন্ধের হুমকি এয়ার ইন্ডিয়ায় |
আগামী ২ এপ্রিল থেকে ‘নো পে-নো ওয়ার্ক’ অর্থাৎ বেতন না-দিলে কাজ না-করার হুমকি দিল রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার অধিকাংশ কর্মী সংগঠন। ৮টি সংগঠন এক সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মীদের অভিযোগ, সংস্থা তাদের ৩ মাসেরও বেশি সময় যাবৎ বেতন দেয়নি। ফলে এই সিদ্ধান্ত নিতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে চিঠিও দিয়েছেন পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাউন্ড স্টাফ-সহ সব স্তরের কর্মীরা। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে সোমবার থেকে সংস্থার পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তবে, বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহ কর্মীদের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, “সরকার এ ব্যাপারে যথাসাধ্য করছে। আশা করি কর্মীরা সেটা বুঝতে পারবেন।” |