নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
নিয়ম মেনে পরিচালন কমিটি গঠিত হয়নি, কমিটির উদ্ধত আচরণের প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে গালিগালাজ করেছেন কমিটির সম্পাদক। এই সব অভিযোগে বুধবার মাড়গ্রাম থানার কড়কড়িয়া জয়তারা বিদ্যাপীঠে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকদের একাংশ। নেতৃত্ব দিয়েছিল রামপুরহাট ২ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। উত্তেজনা সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন ছিল। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে প্রধান শিক্ষক, পরিচালন কমিটির সম্পাদক-সহ কমিটিতে থাকা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা হয়। দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ার পরে বিক্ষোভকারীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে স্মারকলিপি দেন।
এ দিন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের ঘরে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য চন্দ্রাদেবীর স্বামী প্রেমানন্দ মণ্ডল, রামপুরহাট ২ ব্লক তৃণমূল নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী। আলোচনা চলাকালীন দেখা যায় পরিচালন কমিটির সম্পাদক কংগ্রেস নেতা নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসায় লিপ্ত হবে। অভিভাবক প্রতিনিধি অরুণ মণ্ডলের অভিযোগ, “পরিচালন কমিটি নিয়ম বিরুদ্ধ। |
তৃণমূলের ৪ জন সদস্যকে উপেক্ষা করে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মচারী প্রতিনিধি, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ও অবৈধ ভাবে স্কুলের ডোনার প্রতিনিধি নিয়োগ করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবাদ করায় স্কুলের এক শিক্ষককে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। কমিটির সম্পাদক শিক্ষকদের প্রতি বিরুপ আচরণ করে থাকেন। এ ছাড়া, স্কুলে শিক্ষকদের সময় মতো আসা, মিড-ডে মিলে অসঙ্গতি রয়েছে। তার হিসেব দেখাতে হবে। নানা কারণে ঝামেলা হলেও এক জন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।” নিখিলবাবুর দাবি, “কোনও শিক্ষককে হুমকি বা গালিগালাজ করা হয়নি।” তৃণমূল শিক্ষাসেলের শিক্ষক বাপি মাজি বলেন, “আমি বার বার অপমানিত হয়েছি। নানা কাজে প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক, কমিটির সম্পাদক ও অধিকাংশ শিক্ষক আমার উপরে ক্ষুব্ধ।” প্রধান শিক্ষক সুনীল বরণ রায় বলেন, “ওই শিক্ষক আমার কোনও নির্দেশ মেনে চলেন না। উল্টে অপমান জনক কথা বলছেন। তাই তাঁকে শোকজ করা হয়েছে।” |