যত্রতত্র ভ্যান দাঁড় করিয়ে বিক্রি হচ্ছে ফল-সব্জি। রিকশা-গাড়ির দাপটে চলাফেরা করা দায়। কাটোয়ার গোয়েঙ্কা মোড় থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে স্কুল পড়ুয়ারা। সম্প্রতি একটি বৈঠকে কাটোয়া শহরে যানজট রুখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিল মহকুমা প্রশাসন। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে পুরসভা ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযানে নামবে বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে বাসস্ট্যান্ড ও পালিটা রোডে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৪টে থেকে ৬টা পর্যন্ত ‘নো এন্ট্রি’ রয়েছে। ওই দুই জায়গায় পুলিশ ও পুরকর্মীরা যৌথভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ ছাড়াও শহরের গোয়েঙ্কা মোড়, স্টেশন রোড-সহ বেশ কিছ জায়গায় যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিল পুলিশ ও পুরকর্মীরা। যদিও বাস্তবে দেখা মিলত না পুলিশের। ‘নো এন্ট্রি’-র সময়ও অবাধে যান চলাচল করত।
এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান দাঁড় করিয়ে ফল-সব্জি বিক্রি করা কাটোয়া শহরের নিত্য ঘটনা। যত্রতত্র রিকশা-গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ায় যানজটে নাকাল হন বাসিন্দারা। তার উপরে লেবেল ক্রসিং বন্ধ থাকে, তা হলে এক কিলোমিটার পর্যন্ত দাঁড়িয়ে পড়ে যানবাহন। |
অচলাবস্থা কাটাতে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দিয়েছে কাটোয়া পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন মোড়, লেবেল ক্রসিং, গোয়েঙ্কা মোড় ও পুরসভা ক্রসিংয়ে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল লাগানোর জন্য রাজ্য পরিবহণ দফতরকে চিঠি দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। তার প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে মহকুমাশাসক (কাটোয়া) ও এসডিপিও (কাটোয়া)-কে।
মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের জন্য পরিবহণ দফতরের কাছে জেলা পুলিশকে ‘নো অবজেকশন’ শংসাপত্র দিতে হবে। পুলিশের উচ্চ মহলে কথা বলার জন্য এসডিপিও-কে নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমাশাসক (কাটোয়া) দেবীপ্রসাদ করণম। মহকুমাশাসক বলেন, “পুরসভার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও এক জায়গায় নো এন্ট্রি চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
অন্য দিকে, গ্রাম থেকে মোটরচালিত ভ্যান শহরে ঢুকে যানজটের সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠলে বাসস্ট্যান্ডের পরে সেগুলিকে আর শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসডিপিও (কাটোয়া) ধ্রুব দাস বলেন, “ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ভ্যান আটক করা হয়েছে। বেআইনি যান ধরতে শহরে অভিযান চলবে।” |