সাত সকালে বালুরঘাট শহরের সাহেবকাছারি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল বছরের দশেকের মেয়েটি। কৌতূহলী বাসিন্দারা খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন, চার কিলোমিটার দূরে শহরের উত্তমাশা এলাকার একটি বেসরকারি হোমের পাঁচিল টপকে পালিয়ে এসেছে সে। হেঁটে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিল। পরে এলাকার বাসিন্দা, পুলিশ এবং জনশিক্ষা প্রসার দফতরের উদ্যোগে বালিকাকে ফের হোমে পাঠানো হয়।
এই বেসরকারি হোমটি জনশিক্ষা প্রসার দফতরের আর্থিক সহায়তায় চলে। কেন হোম ছেড়ে ওই বালিকা পালাতে
সরস্বতী হেমব্রম |
বাধ্য হল তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। জেলা জনশিক্ষা প্রসার দফতরের আধিকারিক শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রথমে হোমের তরফে জানানো হয়, ওকে অভিভাবকের সঙ্গে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। পরে দেখলাম সেটা ঠিক নয়। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।” দফতর সূত্রের খবর, বালিকার নাম সরস্বতী হেমব্রম। বাড়ি জেলার হিলি থানার জামালপুরে। চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে গত শনিবার তার বাবা সিলিপ হেমব্রম এই হোমে রেখে যান। বালিকাটির অভিযোগ, হোমে সব সময়ে তাকে বকাবকি ও মারধর করা হয়। ঠিকমতো খেতেও দেওয়া হয় না। সে জন্যই সে পালিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল। কিন্তু রাস্তা হারিয়ে ফেলে। মেয়েটির বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।সরস্বতীর পালানোর ঘটনা প্রথমে ওই হোম কর্তৃপক্ষ চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত হোমটির প্রধান কৃষ্ণা চৌধুরী মন্তব্য করতে চাননি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নজরে না পড়লে বালিকা ভুল করে সীমান্ত এলাকায় চলে গিয়ে বিপদে পড়তে পারত। তাই এলাকার বাসিন্দারা চান ‘দোষী’দের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি করেছেন। |