সন্ধ্যায় বাড়ির লোকেরা দেখে গিয়েছিলেন রোগী ভাল রয়েছে। রাত ১১ টা নাগাদ নার্সিংহোম থেকে জরুরি ফোন পেয়ে গিয়ে দেখেন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তার পরেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ভাঙচুর হল নার্সিংহোমে। রবিবার হাকিমপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, নার্সিংহোম চত্বরে একটি ওষুধের দোকানে ভাঙচুর করা হয়। রাতে দোকানে থাকা দুই কর্মীকে বেল্ট দিয়ে মারাও হয়েছে। ভাঙচুর চালান হয় একটি অ্যাম্বুল্যান্সে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত রোগীর নাম দীপক চন্দ (৬২)। বাড়ি সুকান্তনগরে। ২১ মার্চ ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে তিনি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। নার্সিংহোমের কর্ণধার কৃষ্ণ চন্দ্র মিত্র বলেন, “দীপকবাবু ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত। শ্বাসনালীর একাংশে টিউমার হয়েছিল। অস্ত্রোপচার করে বিকল্প নল লাগিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস চালানোর ব্যবস্থা করা হয়। এ দিন রাতে কাশির জন্য ওই নলটি আচমকা খুলে গিয়েছিল। সেটি লাগাতে অস্ত্রোপচার জরুরি ছিল। চিকিৎসক, অ্যানাস্থেসিস্ট উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। এর পর রোগীর লোকেরা ওষুধের দোকানে, অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ এসেছিল। তাদের বিস্তারিত জানানো হয়েছে।” রোগীর পরিবারের লোকেরা ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, বিকেলে চা খেয়েছেন দীপকবাবু। রাতে তাঁর ছেলে খাবার দিয়ে গিয়েছিলেন নার্সিংহোমে। পরিবারের লোকেরা জানতেন দীপকবাবুর গলায় টিউমার হয়েছে। ক্যান্সার হয়েছিল কি না তা নিশ্চিত হতে সোমবার বায়োপ্সি করার কথা ছিল। দীপকবাবুর ভাইপো পঙ্কজ চন্দ বলেন, “সেই মতো ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। আচমকা রবিবার রাতে ফোন পেয়ে আমরা নার্সিংহোমে গিয়ে দেখি কাকার চোখমুখ ফোলা। মুখ বিকৃত হয়ে রয়েছে। চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান কিছুক্ষণ আগেই তিনি মারা গিয়েছেন। চিকিৎসায় গাফিলতির জন্যই এমনটা হয়েছে।” নার্সিংহোম চত্বরে থাকা ওষুধের দোকানের কর্মী চন্দন চক্রবর্তীর দাবি, ওই রাতে রোগীর পরিস্থিতি খারাপ হলে বাড়ির লোকেরা এসেছিলেন। তাদের কথাবার্তায় তাঁরা সেটা বুঝতে পেরেছিলেন। তখনও দোকান খোলা রাখা হয়েছিল যদি তাদের ওষুধ প্রয়োজন হয়। আচমকা রোগীর লোকজন দোকানে এসে লাঠি মেরে দোকানের শো-কেসের কাঁচ ভেঙে দেন। বাধা দিতে গেলে বেল্ট খুলে মারেন বলে অভিযোগ। বাড়ির লোকেরা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। |