কুমারগ্রামের বালাপাড়া থেকে অপহৃত বারবিশার ব্যবসায়ী তাপস সাহা বাড়িতে ফিরলেন। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে ফেরেন। তবে কারা, কোথায় তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল সেই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ওই ব্যবসায়ী পরিবার। ওই ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেজন্য পুলিশ এখনও কোনও খোঁজখবর নেয়নি। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বলেন, “অপহৃত ব্যবসায়ী তাপস সাহা রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরেছেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়নি।” গত ১৬ মার্চ রাতে ওই ব্যবসায়ী হাত থেকে ফেরার সময়ে অপহৃত হন। দুই দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে অপহরণ করে জঙ্গলের পথে অসমের দিকে নিয়ে যায়। এক বছরের মধ্যে আলিপুরদুয়ার মহকুমায় তিনটি অপহরণের ঘটনা ঘটল। আলিপুরদুয়ার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, “প্রতিটি অপহরণের ঘটনায় দেখা যাচ্ছে অপহৃতের পরিবারের লোকেরা মুক্তিপণ দিয়ে সমস্যা মেটাচ্ছে। পুলিশকে সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখিনি। বিষয়টি নিয়ে সাংগঠনিক ভাবে আলোচনা করে পদক্ষেপ করব।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “বিষয়টি উদ্বেগের। অপহরণের ঘটনায় পুলিশ কী করছে তা নিয়ে আমি প্রয়োজনে স্বরাস্ট্র সচিব জ্ঞানদত্ত গৌতমের সঙ্গে কথা বলব। বিষয়টি জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব।”
|
১৭ বছর ধরে বন্ধ কার্শিয়াঙের রিংটং চা বাগান খোলার দাবিতে আমরণ অনশনে বসতে চলেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শ্রমিক সংগঠন। আজ, মঙ্গলবার দুপুরে দার্জিলিঙের জেলাশাসকের দফতরের সামনে অনশন কর্মসূচি শুরু হবে। বাগানের সাতজন শ্রমিকও অনশনে যোগ দেবেন বলে মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে। মোর্চার দার্জিলিং, তরাই ও ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন লেবার ইউনিয়নের মুখপাত্র মিলন প্রধান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বাগানটি বন্ধ। প্রশাসন এবং সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা বাগানের লিজ বাতিলের দাবির পাশাপাশি বাগান দ্রুত খোলার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করছি।” কার্শিয়াং মহকুমার সোনাদার কাছে রিংটং চা বাগানটি রয়েছে। স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে বাগানের শ্রমিক সংখ্যা এক হাজারের মত। প্রথমে বাগানের কারখানা পুড়ে যায়। এর পরে শ্রমিক অসন্তোষের অভিযোগ তুলে কর্তৃপক্ষ বাগানটি বন্ধ করে চলে যায়। চরম দুর্দশায় পড়েন শ্রমিক পরিবারগুলি। প্রশাসনিক আলোচনা হলেও বাগান খোলেনি। বাগানের মালিক এবং কর্তৃপক্ষও কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। অধিকাংশ শ্রমিক বর্তমানে দিনমজুরি করে সংসার চালান। গত বছর পুজোর সময় মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের নির্দেশে মোর্চার নেতা-কর্মীরা শ্রমিক পরিবারগুলিকে চাল, তেল, খাবার এবং কিছু আর্থিক সাহায্যও করেন।
|
পুলিশি হয়রানির অভিযোগ তুলল তিনটি সংগঠন। সোমবার বাগডোগরা এয়ারপোর্ট ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, উত্তরবঙ্গ মোটর কর্মী ইউনিয়ন এবং বাগডোগরা ট্যাক্সি ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগির কাছে স্মারকলিপি দেয়। অভিযোগ, বাগডোগরা থেকে পর্যটকদের নিয়ে অনেক রাতে সিকিম পৌঁছয় গাড়ির চালকরা। রাতে সেখানে থাকতে হয় তাঁদের। সম্প্রতি রাতে গাড়ি পার্কিংয়ে বাধা দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে রাতেই ফিরতে হয় চালকদের। সংগঠনের সদস্যরা বলেন, “রাতে দুর্ঘটনা হতে পারে। ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযোগ নিয়ে সিকিম প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।”
|
আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়ের দাবি মেনে ওই দফতরের তরফে চুল্লি তৈরি জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। স্থানীয় পুরসভার মাধ্যমে চুল্লি তৈরির কাজ হবে। বিধায়ক বলেন, “এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি মিটতে চলেছে।” পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর বৈদ্যুতিক চুল্লির প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে। ওই কাজের জন্য ১ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কালজানি নদীর ধারে চুল্লিটি তৈরি করা হবে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যুতিক চুল্লির জন্য ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন দফতরে আবেদন করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অবশেষে পুরসভার তরফে বিষয়টি বিধায়ককে জানানো হয়। তিনি গত বছর নভেম্বর মাসে প্রস্তাবিত চুল্লির প্রকল্প উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পাঠিয়ে দেন। সম্প্রতি তা অনুমোদন পায়। পুরচেয়ারম্যান বলেন “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বাস্তুকারের তত্ত্বাবধানে এপ্রিল মাস নাগাদ চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হবে। ছয় মাসে কাজ শেষ করা হবে”
|
ছবিটি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক। |
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে এনজেপি পুলিশ ফাঁড়ির নেতাজি মোড়ে। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মিলন দাস নামে এক ব্যক্তির বাড়ির দুটি কাঠের ঘরে আগুন লাগে। শর্ট সার্কিট থেকে ওই আগুন লেগেছে বলে দমকলের সন্দেহ। |