একটি দাঁতাল রবিবার বিকেল থেকে কাঁকসার বিভিন্ন এলাকায় উপদ্রব চালায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয় নদ পেরিয়ে বীরভূম থেকে সেটি বিকেল ৪টে নাগাদ গোবিন্দপুরে ঢোকে। কয়েকটি খেতের গম গাছ খেয়ে নেয়। একটি বাড়ির মাটির সীমানা পাঁচিল ভেঙে দেয়। পরে সেটি পানাগড়ের আদিবাসীপাড়া হয়ে সুভাষপল্লিতে ঢোকে। সুভাষপল্লির বাসিন্দা অশোক দাস বলেন, “হাতি দেখে আমরা ভয় পেয়ে যাই। তবে বন দফতরের কর্মীরা হাতির পিছনে থাকায় তেমন কোনও ক্ষতি করতে পারেনি।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতেই সেটিকে সিলামপুরে দামোদরের চরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার বিকেলেও হাতিটিকে সেখানেই দেখা গিয়েছে। রবিবার ভোরে বাঁকুড়ার সোনামুখির দিক থেকে একটি গলসিতে ও বীরভূমের দিক থেকে একটি দাঁতাল কাঁকসায় ঢুকে পড়ে। বুদবুদ ও গলসিতে হাতির হামলায় দু’জন জখম হন। বেশ কয়েকটি গবাদি পশুকেও মারে দাঁতালটি। তবে সেটিকে দামোদর পার করে বাঁকুড়ায় পাঠিয়ে দেন বন দফতরের কর্মীরা। কাঁকসার দাঁতালটি সারা দিন কোনও ক্ষয়ক্ষতি না করলেও বিকেল থেকে উপদ্রব শুরু করে।
|
চোরাশিকারীদের কাছ থেকে ৪৪টি পরিযায়ী পাখি উদ্ধার হল লাভপুর এলাকা থেকে। তার মধ্যে ১৩টি মৃত। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে চার জনকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানা এলাকায়। সোমবার বোলপুরের এসিজেএম পীযূষ ঘোষ ধৃতদের ১০ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মৃত পাখিদের দেহ ময়না-তদন্ত করে ৩ এপ্রিল রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারক জীবিত ৩১টি পাখির চিকিৎসা করে কোনও সম্মাননীয় ব্যক্তির উপস্থিতিতে পাখিগুলিকে ছেড়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, “শনিবার গভীর রাতে সাউগ্রামের মাঠে চোরাশিকারীরা জাল ফেলে বসেছিল। লাভপুরের ভারপ্রাপ্ত বিট অফিসার রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ওই পাখিগুলিকে উদ্ধার করেন।” পশুপ্রেমী উর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ধৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”
|
একটি পাগলা কুকুরকে পিটিয়ে মারল জনতা। ডেবরার ডিঙ্গল, রাধামোহনপুর ও তার আশপাশের এলাকায় কুকুরটিকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে কুকুরটি এলাকার কয়েক জনকে কামড়েছে। তাঁদের ডেবরা ব্লক হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এ দিন সন্ধে পর্যন্ত ১৫ জন চিকিৎসা করিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। শেষমেশ উত্তেজিত জনতা কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
|
গরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া বড়দিঘি চা বাগানে ঢুকে দিনভর তান্ডব চালানোর মৃত্যু হল একটি বাইসনের। সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ ৫টি বাইসনের একটি দল চা বাগানো ঢোকে। বাইসনের গুঁতোয় ৩শ্রমিক জখম হন। এদের মধ্যে ঘেবরা মাহালিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চারটি বাইসন জঙ্গলে ফিরে যায়। একটি বাইসনকে ঘুম পাড়ানি গুলি চালিয়ে বেহুঁশ করা হয়। শেষ পর্যন্ত বাইসনটির মৃত্যু হয়। জলপাইগুড়ি বনবিভাগ ২ এর ডি.এফ.ও সুমিতা ঘটক বলেন, “বাইসনের হৃদযন্ত্র খুব দুর্বল। ঘুম পাড়ানো গুলিতে বেহুঁশ হওয়ার পরে সে মারা যায়। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।” এদিন বড়দিঘি বাগানের ১৩ নং সেকশনে ঢুকে পড়ে। সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে বাইসন দেখতে পান। গরুমারার পিলখানা থেকে ৪ টি কুনকি হাতি নিয়ে গিয়ে বাইসনটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করে বন দফতরের কর্মীরা। তাতেও কাজ না হয় পরে ঘুম পাড়ানি গুলি চালিয়ে বাইসনটিকে বেহুঁশ করা হয়। জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। লাটাগুড়ির এক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন সম্পাদক অনির্বাণ মজুমদার বলেন, “জঙ্গলের ঝরাপাতায় আগুন দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন প্রচুর গাড়ি পর্যটক বোঝাই করে জঙ্গলে ঢুকছে। এই অবস্থায়, খুব স্বাভাবিক কারণেই বাইসন জঙ্গল ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ছে।” |