বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে যাওয়ার পাঁচ দিন পরে আজ, মঙ্গলবার থেকে হাতিবাগান বাজারে মাছ ও কাঁচা সব্জির দোকান ফের চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশ। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেছেন, এখনই বাজার চালু হলে ক্রেতাদের বিপদ হতে পারে। তিনি সোমবার বললেন, “এখনও অনেক পোড়া কাঠামো রয়ে গিয়েছে, যা যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। ওই সব কাঠামো সরাতে দু’তিন দিন সময় লাগবে।” |
আবার প্রস্তুত হচ্ছে বাজার। সোমবার। — নিজস্ব চিত্র |
এ দিকে, সোমবার সকালে ফরেন্সিক বিভাগের একটি দল হাতিবাগান বাজারে যায়। তাঁরা শুরুতেই ফলপট্টি ও ফুলপট্টির ভস্মীভূত অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে পুরো বাজারে অনুসন্ধানের কাজ চালান। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাজার খোলার ব্যাপারে কলকাতা পুরসভার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
এ দিকে, নন্দরাম মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বৈধ লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সমাধানের পথ খুঁজতে গত শনিবার পুরসভায় দমকলমন্ত্রী ও মেয়রের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। সেই মতো এ দিন ফের ওই বাজার পরিদর্শনে যান দমকল, পুরসভা, পুলিশ ও সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা। ‘নন্দরাম বাঁচাও কমিটি’র সম্পাদক সমরকান্তি চৌধুরী বলেন, “দমকল বলেছে, বাজারের নীচে জলাধার করতে। কিন্তু বেসমেন্টে ৭১টি দোকান আছে। সেখানে জলাধার করা সম্ভব নয়।” বিষয়টি নিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ডিজি (দমকল) দুর্গাপ্রসাদ তারানিয়া বলেন, “যা প্রয়োজন, আমরা তা করতে বলেছি।” দমকলমন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান অবশ্য বলেন, “মেয়র চাইছেন, শর্তসাপেক্ষে ওঁদের অনুমতি দেওয়া হোক। জলাধারের জন্য ওঁদের কোথায় জায়গা দেওয়া যায়, তা দেখছে পুরসভা।” |