তৃণমূল সমর্থক বিদ্যুৎবরণ হাজরার উপরে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনের আগাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করল বর্ধমান জেলা জজ আদালত। সোমবার দুই অভিযুক্ত পীযূষকান্তি তা ও প্রবীর তা-র আগাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ প্রভাতকুমার অধিকারী।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম হন বিদ্যুৎবরণ হাজরা। তাঁর দোকানে সিপিএমের পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বিবাদ বাধে বলে অভিযোগ। এই বিবাদের জেরেই সে দিন খুন দুই সিপিএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন।
বিদ্যুৎবরণবাবুর উপরে হামলার ঘটনায় বর্ধমান থানায় চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত প্রদীপ তা, তাঁর ভাই প্রবীর তা, রূপকুমার গুপ্ত ও পীযূষকান্তি তা। সে দিন সংঘর্ষের ঘটনায় জখম হয়েছিলেন সিপিএম কর্মী রূপকুমার গুপ্ত। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে ফেরার পরেই হামলার মুখে পড়েন প্রদীপ তা। দুই নেতা খুনের ঘটনায় বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রবীরবাবু।
বর্ধমান থানার পুলিশ বিদ্যুৎবরণ হাজরার উপরে আক্রমণে অভিযুক্ত চার জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়। কিন্তু রূপকুমার গুপ্তকে মারধরের ঘটনায় ১১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রথমে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়। পরে অবশ্য এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পতিতপাবন তা, সুরজিৎ তা, ছোটন চক্রবর্তী ও মন্টু ঘোষ ইতিমধ্যেই দুই সিপিএম নেতা খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। গত ২১ মার্চ মারধরের ঘটনায় জামিন পেলেও খুনের মামলায় তাঁরা এখনও জেল হাজতে রয়েছেন।
সোমবার বিদ্যুৎবরণবাবুর আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাসের অভিযোগ, “রূপকুমার গুপ্তকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের পুলিশ পরে গ্রেফতার বা ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখায়। কিন্তু আমার মক্কেলের উপরে হামলার ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতারের চেষ্টাই করেনি।” তবে বর্ধমান থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। তাঁরা পলাতক। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “আমরা কোনও পক্ষপাতমূলক আচরণ করছি না। সব অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |