|
|
|
|
ডাকাত সন্দেহে গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
ইসলামপুরের রামগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় রামগঞ্জ এলাকার কাপড়ের ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার পরে দুষ্কৃতীরা পালানোর সময়েই পুলিশ তাদের তাড়া করে। তার পরেই ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মহম্মদ সোহেল। তাকে জেরা করছে পুলিশ। ইসলামপুরের মহকুমা পুলিস আধিকারিক নীলকান্ত সূধীর কুমার বলেন, “ডাকাতের পিছু তাড়া করার সময়ে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। তবে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ধৃত দুষ্কৃতীকে জেরা করা হচ্ছে।” মাত্র সাত দিন আগেই ইসলামপুর শহরের পুর চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবালের ভাই রতনলালবাবুর বাড়িতে ডাকাতি হয়। তার পরে ফের রামগঞ্জের ডাকাতির ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। রামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরত্বে ডাকাতির ঘটনা ঘটা সত্বেও পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে না-পারায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখান। রবিবার ১২ ঘন্টা ব্যবসা বন্ধ পালন করেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী হংসরাজ দুগার বলেন, “এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সজাগ থাকলে এত বড় ঘটনা ঘটত না। দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা বন্ধের ডাক দেওয়া হবে।” পুলিশ জানতে পেরেছে, ডাকাতির সময়ে ব্যবসায়ীর দোকানে দুই কর্মচারী এবং দুই ছেলেমেয়ে ছিলেন। দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢুকেই ব্যবসায়ীর মাথায় মাথায় পিস্তল ঠেকায়। দোকান লন্ডভন্ড করে টাকা পয়সা লুট করে। বাঁধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীদের ধাঁরাল অস্ত্রে জখম হন অমল সরকার নামে এক কর্মচারী। ২৫ মিনিটের মধ্যে লুটপাট চালিয়ে দুষ্কৃতীরা পালানোর সময়ে বোমা ছোঁড়ে। বোমার আঘাতে হাজারি বসাক নামে এক দর্জির দোকানের মালিক জখম হন। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই ব্যবসায়ী সুপারশ জৈন বলেন, “ডাকাতরা দলে ৮ জন ছিল। কয়েক লক্ষ টাকা লুট করে পালিয়েছে।” |
|
|
|
|
|