|
|
|
|
মাঠ বেদখল বস্তি, আবর্জনায় |
বছর দুয়েক পড়ে ২০ লক্ষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
জেলার খেলাধুলার উন্নতির লক্ষ্যে জেলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠ, সীমানার পাঁচিল, গেটের জন্য রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতর ২০০৯ সালে জেলা পরিষদকে ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও জেলা পরিষদ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্দকৃত এক টাকাও খরচ করতে পারেনি। টাকা আসার পরেও স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাজ শুরু না হওয়ায় জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন ক্ষুব্ধ ক্রীড়ামোদীরা। দীর্ঘদিন ধরে খোলা অবস্থায় পড়ে থাকার সুযোগে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠ বেদখল হয়ে গিয়েছে। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের একপ্রান্তে গজিয়ে উঠেছে বস্তি। মাটে চরে বেড়াচ্ছে শুয়োর। অন্যপ্রান্তে ফাঁকা জায়গায় দখল করে পুরসভা জঞ্জাল ফেলার গাড়ির অস্থায়ী গ্যারেজ করেছে বলে অভিযোগ। জেলা ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ আধিকারিক মৃণাল কান্তি হালদার বলেন, “স্পোর্টস কমপ্লেক্সের টাকা এখনও খরচ করা হয়নি। কেন হয়নি তা বলতে পারব না। |
|
ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়। |
কেননা ওই টাকা রাজ্যে যুবকল্যাণ দফতর থেকে জেলা পরিষদকে দেওয়া হয়েছিল।” যুব কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বরাদ্দ অর্থ দ্রুত খরচ করে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট পাঠানোর জন্য দফতরের প্রধান সচিব জেলাশাসকে কয়েক বার চিঠি পাঠিয়েছেন। তারপরেও জেলা প্রশাসন এবং জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কোনও হুঁশ নেই বলে অভিযোগ। জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা বলেন, “কেন এখনও জেলা পরিষদ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের টাকা খরচ করেনি তা খোঁজ নিচ্ছি। যাতে দ্রুত কাজ শুরু করা যায় সেজন্য চেষ্টা করব। মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি উজ্জল চৌধুরী দাবি করেন, স্পোর্টস কমপ্লেক্সের টাকা খরচ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কেন সেই টাকা খরচ করা হয়নি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “মালদহে ফিরেই দ্রুত টেন্ডার করে কাজ শুরু করব।” মালদহ ডিএসএ ময়দান ও বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের মধ্যবর্তী ৮.০৪৫ একর ফাঁকা জায়গা জেলা ভূমিরাজস্ব দফতর স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ার জন্য রাজ্যের যুব কল্যাণ দফতরকে হস্তান্তর করে। ওই মাঠে ভলিবল, খো খো, কবাডি, ফুটবল, বাস্কেটবল-সহ অন্য খেলার জন্য উপযুক্ত করে তুলতেঅ যুব কল্যাণ দফতর মালদহ জেলা পরিষদকে প্রথম পর্যায়ে ২০ লক্ষ টাকা দেয়। প্রথম পযর্য়ের টাকা খরচ করে ইউসি পাঠালেই ফের টাকা পাঠানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়। মালদহ জেলা স্কুল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক উদয় সাহা বলেন, “স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে উঠলে জেলার খেলাধুলার চেহারাই বদলে যেত। কেন কাজ শুরু হচ্ছে না, কারা কাজ শুরু করায় বাধা দিচ্ছেন তা খুঁজে বের করা উচিত। প্রশাসন কাজ করতে না পারলে আমাদের দায়িত্ব দিক। কীভাবে কাজ করতে হয় দেখিয়ে দেব।” জেলার প্রবীণ ক্রিকেটার সুব্রত কুণ্ডু অভিযোগ করেন, যখন গনিখান বেঁচে ছিলেন জেলার খেলাধুলার জন্য ভাবনাচিন্তা হত। তিনি বলেন, “বরকতদাই ডিএসএ স্টেডিয়াম করেছেন। সুইমিং পুল তৈরি করেছেন। বরকতদা বেঁচে থাকলে স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরির কাজও আগেই হয়ে যেত। স্পোর্টস কমপ্লেক্স নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|