পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবা, মা ও ছেলের। রবিবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০-এ জাতীয় সড়কে, হুড়া থানা এলাকার জামবাদ গ্রামের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন তপন দেওঘরিয়া (৬১) ও তাঁর স্ত্রী অনিতা দেওঘরিয়া (৫৫) এবং ছেলে রাজেশ দেওঘরিয়া (১৯)। তাঁরা পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার ছড়রা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরবাইকে তপনবাবু ও অনিতাদেবী ছেলের সঙ্গে হুড়ার লক্ষণপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন ছেলে রাজেশ। যাওয়ার পথে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রেলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই তপনবাবুর মৃত্যু হয় এবং অন্য দু’জনকে প্রথমে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের বোকারোতে স্থানান্তরিত করা হয়। |
তপনবাবুর ভাই পশুপতি দেওঘরিয়া জানান, বোকারোতে নিয়ে যাওয়ার পথেই অনিতাদেবীর মৃত্যু হয়। রাজেশকে বোকারোর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যায় সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় মানুষ নিয়ন্ত্রিত যান চলাচলের দাবিতে ঘটনাস্থলে অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেলারটি আটক করা হয়েছে। চালকের খোঁজ চলছে।
এ দিনই বান্দোয়ানের ধাদকা গ্রামের কাছে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। জখম হন ১৫ জন বাস যাত্রী। রবিবার সকালে পুরুলিয়াগামী বাসটি ধাদকা গ্রামের প্রান্তে এক সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, জুনিয়র কনস্টেবলের লিখিত পরীক্ষা দিতে স্থানীয় কয়েক জন যুবক ওই গাড়িতে পুরুলিয়া যাচ্ছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বান্দোয়ানের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অবিনাশ বেসরা বলেন, “দুর্ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। চালক-সহ দু’জন ভর্তি আছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” |