১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে একটি খালের মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েতের খেড়িয়া গ্রামে তৃণমূল এবং আরএসপি-র মধ্যে বিবাদ চলছিলই। শনিবার রাতে সেই বিবাদ থেকেই সংঘর্ষে জখম হন দু’পক্ষের ১০ জন। গোলমালে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার সকালেও দু’পক্ষ হাতাহাতিতে জড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরএসপি পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দিন কয়েক আগে খেড়িয়া গ্রামে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে একটি খালের মাটি কাটার কাজ শুরু হয়। সেই সময়ে তৃণমূল অভিযোগ তোলে তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রকল্পে কাজ দেওয়া হচ্ছে না এবং টাকা তছরুপ করা হচ্ছে। আরএসপি প্রত্যাশিত ভাবেই অভিযোগ অস্বীকার করে। কিন্তু এ নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদ চলছিল। |
| শনিবার সকালে মাটি কাটার কাজের মাপজোক করতে গেলে পঞ্চায়েত সদস্য আরএসপি-র রশিদ শেখকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। তার জেরে সন্ধ্যায় কলতলা মোড়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের আরএসপি সমর্থকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পরেই দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে ইট ছোড়ে। বোমাবাজি হয়। আহতদের বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তৃণমূলের দাবি, আনসার মল্লিক এবং নুর ইসলাম নামে তাঁদের দুই কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় রাতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়। সকালে খেড়িয়া পুলের কাছে ফের দু’পক্ষের হাতাহাতি হয়। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। খালের মাটি কাটার কাজ নিয়ে কোনও অনিয়ম হয়েছে বলে মানতে চাননি পঞ্চায়েত প্রধান মোজাম্মেল হক সর্দার। তিনি বলেন, “মাটি কাটা নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যাঁদের জব কার্ড রয়েছে, তাঁদের কাজ দেওয়া হয়েছে। কোনও পক্ষপাত করা হয়নি।” গোলমালের প্রসঙ্গে প্রাক্তন সেচমন্ত্রী তথা বাসন্তীর আরএসপি বিধায়ক সুভাষ নস্কর বলেন, “এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য তৃণমূূল পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালিয়েছে। আমাদের ৩ জন জখম হন।” গোসাবার তৃণমূূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের পাল্টা অভিযোগ, “পঞ্চায়েতের অনৈতিক কাজকর্মের আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। তার জন্যই আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে আরএসপি হামলা চালাল। আমাদের ৭ জন জখম হয়েছেন।” |
