নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
আরএসপির দশম জেলা সম্মেলনে জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়লেন সম্পাদক মণ্ডলীর চার জন সদস্য। এই সম্মেলনের আগেই আরও দু’জন জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাদ পড়েছেন। শনিবার থেকে ধুবুলিয়ায় শুরু হয়েছে আরএসপির এই সম্মেলন। সম্মেলনের আগে ও পরে জেলা কমিটি থেকে ছ’জন সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য-সহ মোট ১০ জন বাদ গিয়েছেন। তবে জেলা কমিটিতে এসেছে আট নতুন মুখ। জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা ৪১ থেকে কমিয়ে ৩৭ করা হয়েছে।
নদিয়ায় আরএসপির গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘদিনের। শনিবার সম্মেলনের প্রথম দিন বাদ পড়া সদস্যরা রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামীর কাছে অভিযোগ জানান। জেলা কমিটি থেকে কালীগঞ্জ কেন্দ্রের দু’বারের জয়ী বিধায়ক ধনঞ্জয় মোদক, রাহুল মুখোপাধ্যায়, নাদিম মণ্ডল ও সমরেন্দ্র কুমারের মতো জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্যরা বাদ যাওয়ায় আরএসপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়। এর আগে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কালীগঞ্জ কেন্দ্র থেকে দু’বারের জয়ী বিধায়ক ধনঞ্জয় মোদককে সরিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন শঙ্কর সরকার। বিষয়টি নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছিল। প্রার্থী হিসেবে শঙ্করবাবুকে মেনে নিতে না পেরে রীতিমতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আরএসপির কর্মী ও সমর্থকেরা। তারপর থেকেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছে বলে কর্মীদের দাবি। তবে গোষ্ঠী কোন্দলের কথা মানতে চাননি জেলা সম্পাদক শঙ্করবাবু। তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে কয়েকজন দলের বিরোধিতা করেছিলেন। বাকি সদস্যরা তা ভালোভাবে নেননি। এই সম্মেলনই তার প্রমাণ। একটাই প্যানেল জমা পড়েছিল। যারা বাদ গিয়েছেন তাঁদের নাম কেউ প্রস্তাবও করেননি।” এবারেও জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শঙ্করবাবু। বাদ পড়া সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্যদের একজন রাহুলবাবু বলেন, “নানা কারণে আমরা চারজন জেলা কমিটিতে থাকতে চাইছিলাম না। সেটা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েওছিলাম। আমরা স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছি।” কিন্তু বাদ পড়া আরেক সদস্য ধনঞ্জয়বাবু বলেন, “দল যেটা ভালো করেছে সেটাই করেছে। আমি কর্মী হিসেবেই কাজ করে যাব।” |