টুকরো খবর
স্কুলে ঢুকে মার ছাত্রকে, নালিশ
ক্লাসের মধ্যে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় কোতোয়ালির সন্তোষপুর জুনিয়র হাইস্কুলের ওই ছাত্র প্রাণকৃষ্ণ ঘোষকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযোগ, ওই স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা শচীন মণ্ডল শুক্রবার স্কুল চলাকালীন ক্লাসে ঢুকে পড়েন। বেধড়ক মারধর করেন প্রাণকৃষ্ণকে। আহত ছাত্রের বাবা শক্তি ঘোষ কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার স্কুল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিমল হালদার বলেন, “শুক্রবার টিফিনের সময়ে খেলতে খেলতে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে মারধর করেছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্র। এর পরেই ওই ছাত্রীর বাবা আচমকা স্কুলে ঢুকে পড়েন। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। এলাকার বাসিন্দা ও কৃষ্ণনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের হেমন্ত পণ্ডিত বলেন, “স্কুলের মধ্যে ঢুকে কোনও ছাত্রকে এ ভাবে মারধর করার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই শচীন মণ্ডলের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

পুড়িয়ে মারার অভিযোগ
পারিবারিক অশান্তির জেরে এক মহিলাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে খড়গ্রামের এড়োয়ালি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। জখম অবস্থায় রূপালি বিবি নামে ওই মহিলাকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ দিন বিকেলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর রূপালি বিবির মা ওজিফা বেওয়া পুলিশের কাছে মেয়ের স্বামী মেহের শেখ, শ্বশুর মানোয়ার শেখ, শাশুড়ি চাঁদু বিবি ও ভাসুর চাঁদ শেখের নামে অভিযোগ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে রূপালি বিবিকে নিয়ে বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, তারপর তাঁকে ঘরে বন্ধ করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তার পাশে বাড়ি হওয়ায় রূপালির আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে খড়গ্রাম ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। রূপালির কাকা জাহিরুল শেখের দাবি, পরপর দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর অত্যাচার শুরু হয়। যদিও পুলিশের কাছে এ নিয়ে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা পলাতক। কান্দির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অনমিত্র দাস বলেন, “ওই মহিলার গায়ে কী ভাবে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

মহিলার দেহ উদ্ধার, ধৃত স্বামী
নিখোঁজ এক মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম কনকজান বিবি (৪০)। বাড়ি কালীগঞ্জের লালদিঘি উত্তরপাড়ায়। শনিবার কালীগঞ্জের শিয়ালখোলা রোজপুকুর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। রবিবার মুর্শিদাবাদের সালার থেকে মৃতার স্বামী আসরাফ মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পাঁচেক আগে ওই মহিলার বাপের বাড়ি থেকে তাঁকে জোর করে নিয়ে যান তাঁর স্বামী আসরফ মোল্লা। তার পর থেকেই দু’জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মৃতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মাস খানেক আগে আসরফকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন কনকজান। পুলিশের প্রথমিক ভাবে অনুমান, কনকজানকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পরে তার পেট কেটে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কনকজানের বোন খায়রুন বিবি বলেন, “আমার বোনের সঙ্গে আসরফের সম্পর্ক ভাল ছিল না। সেই শত্রুতার জেরেই বোনকে সে খুন করেছে। আমরা তা লিখিত ভাবে পুলিশকে জানিয়েছি।”

সার পাচারের অভিযোগ
জৈব সার পাচারের অভিযোগ উঠেছে শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩৯টি বস্তা আটক করেছে পুলিশ। তবে পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রেসের নমিতা সরকার বলেন, “ওই সার বছর দু’য়েকের পুরনো। নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” তবে গ্রামের বাসিন্দা রূপম মান্না অবশ্য বলেন, “পঞ্চায়েত সারের বস্তাগুলি বাইরে পাচার করছিল।” তৃণমূলের নদিয়া জেলা কমিটির সম্পাদক মৃণাল মৈত্র বলেন, “আমরা পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে অপসারণ করার দাবি জানিয়েছি।” রানাঘাটের মহকুমাশাসক সুমন ঘোষ বলেন, “তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ দোষী প্রামাণ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংঘর্ষে জখম ৬
দুই পরিবারে মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন ছ’জন। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রঘুনাথগঞ্জের সম্মতিনগরে। আহতদের মধ্যে সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্যও রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি শিশুকে মারধরের ঘটনার তদন্ত করতে এ দিন পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এলাকা থেকে পুলিশ চলে যেতেই দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহতদের সকলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরমান শেখ (২৭) নামে এক যুবকের। বাড়ি নদিয়ার মাটিয়ারি এলাকায়। রবিবার সকালে কালীগঞ্জের জানকীনগর উত্তর পাড়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এ দিন একটি ছোট লরি চালিয়ে মাটিয়ারি থেকে বহরমপুর যাওয়ার পথে উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পুলিশ লরিটিকে আটক করেছে। তবে চালক পলাতক।

লরির ধাক্কায় মৃত্যু
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে নজরুল শেখ (৩৫) নামে এক ব্যক্তির। ফরাক্কার শঙ্করপুরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে রবিবার দুর্ঘটনাটি ঘটে। লরিটি আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককেও। এ দিন সাইকেলে কয়লা বোঝাই করে তিনি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। লরির ধাক্কায় ঘটনাস্তলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

বাসের ধাক্কায় মৃত্যু
একটি বেসরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। নাম মহরম মণ্ডল (৭০)। বাড়ি করিমপুরের গোয়াশ গ্রামে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে করিমপুর-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কের মহিষবাথান এলাকায়।

মৃতদেহ উদ্ধার
রাস্তার ধার থেকে সাইফুল মণ্ডল (২৫) নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার নওদা থানার জৌলুসপুর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.