শিল্পশহরে উদাসীন প্রশাসন
স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল থাকলেও ট্রাফিক-বিধি মানে না কেউ
মোড়ে-মোড়ে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে। কিন্তু তা হয় ভাঙা, না-হয় বিকল। কোনওটা আবার ঠিক থাকলেও চালু হয় নিজের খেয়ালে। কোনওটা চললেও সে দিকে নজর দেয় না গাড়ির চালক বা পথচারীরাঅধিকাংশেরই জানা নেই নিয়ম। নিয়ম জানাতে উদ্যোগীও হয়নি কেউ। পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পশহরে ট্রাফিক-বিধি মানার কোনও বালাই নেই তাই। লক্ষ-লক্ষ টাকায় গড়ে তোলা স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করার দিকে নজর নেই পুলিশ-প্রশাসনেরও।
হলদিয়ার ব্যস্ততম মঞ্জুশ্রী মোড় ছাড়াও ব্রজলালচক, রানিচক, চৈতন্যপুরে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হয়েছিল মাস ছয়েক আগে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি মোড়ে এই স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল চালু করতে খরচ হয় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। প্রথম দিকে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে অধিকাংশ সময়েই বন্ধ থাকত মঞ্জুশ্রী মোড়ের সিগন্যাল। গত বছরেই একটি নিয়ন্ত্রণহীন ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙে যায় মঞ্জুশ্রী মোড়ের একটি সিগন্যালের খুঁটি। এরপর থেকেই অকেজো মোড়ের বিভিন্ন মাথার ছ’টি সিগন্যাল। কেটে গিয়েছে প্রায় পাঁচ মাস। ভাঙা সিগন্যালের খুঁটি সারাতে উদ্যোগী হয়নি কেউ। হলদিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অমিতাভ মাইতি বলেন, “মঞ্জুশ্রী মোড়ে ওই সিগন্যাল মেরামতের কথা এইচডিএ-র।” আর এইচডিএ-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র(ইলেকট্রিক্যাল) অলোকেশ গুছাইত বলেন, “যেহেতু ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙেছে তাই ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছি ট্রাক মালিকের কাছে। আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। চেষ্টা করছি দ্রুত মেরামত করতে।” যেখানে সিগন্যাল ঠিক রয়েছে, সেখানেও অবশ্য ট্রাফিক-বিধি মানে না কেউ। অধিকাংশ মানুষেরই জানা নেই নিয়ম। তাঁদের সচেতন করতে উদ্যোগী হয়নি প্রশাসনও। শুধু মোড়গুলিতে মাঝেমধ্যে হেলমেট ও গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করে পুলিশ। বিধিভঙ্গকারীদের দেখার কেউ নেই বলে বা দেখলেও শাস্তির ব্যবস্থা নেই বলে অভিভাবকহীন সিগন্যাল মানে না কেউ। শহরের বাসিন্দা মলয় হালদারের কথায়, “ন্যূনতম নিরাপত্তার কথাও ভাবে না পুলিশ-প্রশাসন। ফলে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে।”
এসডিপিও অমিতাভবাবু অবশ্য বলেন, “ধরপাকড় চলছে। তবে কমসংখ্যক পুলিশকর্মী থাকায় সমস্যা তো রয়েছেই। কমপক্ষে ৩০ জন যোগ্য কর্মী প্রয়োজন। এই নিয়ে পুরসভার দ্বারস্থ হলেও কর্মী মেলেনি।” উপপুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিকের জবাব, “আমাদের কাছে কোনও আবেদন করেনি কেউ। বরং আমরাই পুজোর সময় প্রশাসনিক বৈঠকে কিছু নিরাপত্তাকর্মী দিতে চেয়েছিলাম। ওরা নেয়নি। আমরা অবশ্য সব সময়ের জন্য কর্মী দিতেও পারব না। সাময়িক ভাবে কিছু দিনের জন্য দিতে পারি।”
দায় এড়ানোর খেলা চলছেই। ‘লোক দেখানো’ স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালও চলছে আপন খেয়ালে। তা কার্যকর করার কোনও উদ্যোগ নেই শিল্পশহরে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.