|
|
|
|
দূরশিক্ষার ফলপ্রকাশ ঘিরে সংশয় বিদ্যাসাগরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা• মেদিনীপুর |
পরীক্ষা হয়েছে গত বছর নভেম্বরে। কিন্তু এখনও ফল প্রকাশ হয়নি। কবে হবে তা-ও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্বভাবতই দুশ্চিন্তায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। কারণ, চলতি মাসেই বিএডে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। সঙ্গে এমএ, এমএসসি-র মার্কশিট না দিতে পারলে সমস্যা দেখা দেবে। সব জানিয়ে কর্তৃপক্ষের
কাছে বার বার দরবার করেও অবশ্য কোনও সুরাহা হয়নি।
দূরশিক্ষা বিভাগের স্থায়ী ডিরেক্টরের পদটি গত অক্টোবর থেকেই শূন্য। নতুন ডিরেক্টর নিয়োগের প্রক্রিয়া পর্যন্ত শুরু করেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিভাগের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রেজিস্ট্রার রণজিৎ ধর। তিনিও জানেন না কবে ফলপ্রকাশ করা সম্ভব হবে। রণজিৎবাবুর কথায়, “কোন কোন বিষয়ের ফল প্রকাশিত হয়নি, কবে হবে তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে রঞ্জন চক্রবর্তী যোগ দেওয়ার অনেক
আগেই দূরশিক্ষা বিভাগের পরীক্ষা হয়েছিল। উপাচার্য বলেন, “আমি কিছুদিন আগেই জানতে পারি
দূরশিক্ষা বিভাগের ফলপ্রকাশ করা যায়নি। এক্ষেত্রে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে দ্রুত ফলপ্রকাশের জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরশিক্ষার মাধ্যমে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন। শুধু দুই মেদিনীপুর নয়, রাজ্যের অন্য জেলার বহু ছাত্রছাত্রীও দূরশিক্ষায় এমএ, এমএসসি এবং এমকম পড়েন। সাধারণ বিভাগগুলিতে ছুটির সময়েই এই বিভাগে ক্লাস হয়। ছুটিতেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই বিভাগের পার্ট-১ ও পার্ট-২ পরীক্ষা শেষ হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। তার পর সাড়ে তিন মাস কেটে গিয়েছে, এখনও বেশিরভাগ বিভাগেরই ফলপ্রকাশ করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজি পার্ট-১, পার্ট-২, রাষ্ট্রবিজ্ঞান পার্ট-১, পার্ট-২, বাংলা পার্ট-১, পার্ট-২, ভূগোল পার্ট-১, পার্ট-২, বাণিজ্য বিভাগ, পদার্থবিদ্যা, পরিবেশ বিজ্ঞান, গণিতকোনও বিষয়েরই ফলপ্রকাশ করা যায়নি। দু’একটি বিষয়ের ফল হয়তো এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা যেতে পারে বলে কর্তৃপক্ষের আশা। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। এক-দু’টি বিষয়ের ফল প্রকাশিত হলে অন্য বিষয়ের ছাত্রছাত্রীরা আরও ক্ষুব্ধ হবেন। এ দিকে, বিএডে ভর্তির আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্যও আর বেশি সময় নেই। চলতি মাসের ২৬ তারিখের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে এমএ, এমএসসি, এমকম পার্ট ২-এর পরীক্ষার্থীরা মার্কশিট না পেলে সমস্যায় পড়বেন। তা ছাড়া, দূরশিক্ষায় পড়ার খরচও অনেক বেশি। এত অর্থ খরচ করে কেনই বা সময়ে মার্কশিট পাওয়া যাবে না--সেই প্রশ্নও উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্যের অবশ্য আশ্বাস, “দ্রুত ফলপ্রকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের সমস্যা না দেখা দেয় সে জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|