আকাশভাঙা বৃষ্টি আর বজ্রপাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেল রেস শুরুর আগের সব হিসাব। শেষে প্রকৃতির সব প্রতিকূলতা সামলে মালয়েশিয়া গ্রাঁ প্রি জিতলেন ফেরারির ফের্নান্দো আলোনসো। চলতি বছরে গাড়ি নিয়ে বেশ সমস্যায় আছে ফেরারি। কিন্তু আজ রণকৌশলে আর দক্ষতায় বাকিদের মাত দিয়ে আট মাস পরে আবার জিতলেন আলোনসো। শেষ ল্যাপ পর্যন্ত স্প্যানিশ তারকার উপর চাপ তৈরি করে গিয়ে অপ্রত্যাশিত দ্বিতীয় স্থান নিয়ে চমকে দিলেন স্যবার দলের মেক্সিকান চালক সের্জিও পেরেজ। অস্ট্রেলিয়ার পরে এখানেও পোল থেকে শুরু করে সেই তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ম্যাকলারেনের লুইস হ্যামিল্টনকে।
যে রেসে সেবাস্তিয়ান ভেটেল, জেনসন বাটনের মতো চ্যাম্পিয়নরা ব্যর্থ, সেখানে বৃষ্টি জনিত সব বিঘ্ন পক্ষে গেল ফোর্স ইন্ডিয়ার। পল ডি রেস্টা ও নিকো হুলকেনবার্গ আট পয়েন্ট দিলেন দলকে। ডি রেস্টা সাতে এবং হুলকেনবার্গ নয়ে শেষ করে পেলেন যথাক্রমে ৬ ও ২ পয়ন্ট।
সকাল থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাষ ছিল। রেসের দশ মিনিট আগে নামে বৃষ্টি। তার মধ্যেই প্রথম ল্যাপে লিড নিয়েছিলেন হ্যামিল্টন। দ্বিতীয় বাটন। অন্য দিকে, মাইকেল শুমাখার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথম তিন ল্যাপে তৃতীয় থেকে পিছিয়ে যান ষোলোয়। পেরেজ দ্রুত বৃষ্টির উপযুক্ত চাকা পাল্টে উঠে আসেন তিনে। অন্য চালকদের মধ্যেও চাকা পাল্টানোর হিড়িক পড়ে যায়। ট্র্যাকে জল জমায় নবম ল্যাপে সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় রেস। যেমন হয়েছিল ২০০৯-এ। বৃষ্টিতে বরাবর ভাল চালানো নারায়ণ কার্তিকেয়ন তখন আটে ছিলেন। কিন্তু বৃষ্টি থেমে রেস ফের শুরু হওয়ার পরে ভারতীয়ের হিসপানিয়া রেসিং গাড়িতে ধাক্কা মারেন বাটন। দু’জনেই পয়েন্টের লড়াই থেকে ছিটকে যান। শেষের আগের ল্যাপে আবার নারয়ণের গাড়ির সঙ্গে ঘষা লেগে ভেটেলের গাড়ির পিছনের চাকা ফেটে যায়। ফলে তাঁকে টপকে দশম স্থানে শেষ করে এক পয়েন্ট নেন শুমাখার। রেড বুলের মার্ক ওয়েবার চতুর্থ এবং প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কিমি রাইকোনেনের লোটাস পঞ্চম স্থানে শেষ করেন।
|