আইপিএল ফাইভের শিবিরে এখনও যোগ দেননি নাইট অধিনায়ক। কিন্তু গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলাপ-পর্ব সেরে রেখেছেন নাইট রাইডার্সের নতুন কোচ ট্রেভর বেলিস। “এ বার সিডনিতেই প্রথম আলাপ হল গম্ভীরের সঙ্গে। ওরা যখন সিডনিতে খেলতে গেল, আমি গম্ভীরকে ফোন করি। পরে ওর সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডাও দিয়েছি,” রবিবার ইডেনে কেকেআরের প্র্যাক্টিস শেষে বলছিলেন বেলিস। এ দিনই যিনি শিবিরে প্রথম যোগ দিলেন। কেমন লেগেছে নাইট নেতাকে? “গম্ভীর খুব ভাল মানুষ। ক্রিকেট নিয়ে ওর নির্দিষ্ট কিছু মতামত আছে। দেখলাম, আমার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সেগুলো মিলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে গম্ভীরের সঙ্গে আমার জুটিটা ভাল জমবে,” বলছিলেন নাইট কোচ।
|
নাইটদের নতুন কোচ ট্রেভর বেলিস। ইডেনে। -নিজস্ব চিত্র |
বেলিসের আগেও দুই অস্ট্রেলীয় কোচ সংসার সামলেছেন নাইটদের। প্রথমে জন বুকানন। দ্বিতীয় জন ডাভ হোয়াটমোর। হোয়াটমোরের আমলে নাইটরা তবু সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল, কিন্তু বুকাননের সময়ে নাইটদের যাবতীয় যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছিল গ্রুপ পর্বেই। তাঁর দুই পূর্বসুরি যা পারেননি, বেলিস তা পারবেন? পারবেন নাইটদের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করতে? সতর্ক শোনায় নতুন কোচের গলা। “বুকানন আর হোয়াটমোর দলের যে ভিতটা গড়ে দিয়ে গিয়েছে আমি সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। প্রত্যেক কোচেরই নিজস্ব কিছু পদ্ধতি থাকে। সে তার সঙ্গে নতুন ভাবনাচিন্তা নিয়ে আসে। আমিও এনেছি।”
পুরোদমে শিবির শুরু হতে এখনও দেরি। সোমবার আসছেন বাংলার চার ক্রিকেটার। লক্ষ্মীপতি বালাজি এবং বিদেশিদের মধ্যে রায়ান টেন দুশখাতে, ইয়ন মর্গ্যান পৌঁছচ্ছেন ২৭ মার্চ। তারও সপ্তাহখানেক পরে আসবেন ব্রেট লি, সুনীল নারিন-রা। ৩০ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রদর্শনী টি-টোয়েন্টি খেলে ওই সময়েই শিবিরে যোগ দেবেন গম্ভীর, মনোজ তিওয়ারি, ইউসুফ পাঠান।
তবে সবাইকে নিয়ে ঠিকঠাক অনুশীলন করা যাচ্ছে না বলে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে খানিকটা হলেও চিন্তায় কোচ বেলিস। জানালেন, সবার ফিটনেস পরীক্ষা করাটাই হতে চলেছে তাঁর প্রথম লক্ষ্য। তবে নতুন দল নিয়ে খুশি তিনি। “কেকেআরের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি খুব খুশি। আমাদের দল খুব শক্তিশালী। টিমের বিদেশি ক্রিকেটাররা খুব ভাল।” ইডেনকে ঘরের মাঠ হিসেবে পেয়েও খুশি প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান কোচ। বললেন, “এর আগে ইডেনে এক বারই এসেছি। শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে। তখন দেখেছি, এখানকার দর্শক ক্রিকেট নিয়ে কতটা আগ্রহী। সে বার স্বাভাবিক ভাবেই আমরা দর্শক সমর্থন পাইনি। এ বার ইডেনের হোম টিম হতে পেরে খুব ভাল লাগছে।” |