পুণের মাঠে নামার আগেই সুব্রত ভট্টাচার্য-র মোহনবাগান নেমে গেল দুই থেকে চার নম্বরে। আর টিডি হিসাবে শুরুর দিন সুভাষ ভৌমিকের চার্চিল ব্রাদার্স ছয় থেকে নেমে গেল সাতে।
বরং আই লিগে প্রত্যাবর্তনের দিনেই জয় পেয়ে সুব্রত পাল তাঁর পুণে এফ সিকে তুলে আনলেন তিনে। মারগাওতে পিছিয়ে পড়ে স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে ১-১ ড্র করল চার্চিল। আধিপত্য দেখিয়েও লাভ হল না। পুণেতে সুব্রত পালরা কষ্ট করে ১-০ হারালেন পৈলানকে। আই লিগে এখন সাপলুডোর খেলা চলছে। ডেম্পোর (৪৬) পরই এখন ইস্টবেঙ্গল (৩৮), পুণে (৩৭)। মোহনবাগানও ৩৭ পয়েন্টে। কিন্তু পুণের কাছে হারায় তারা এখন চার নম্বরে। পুণেতে আজ এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে জিতে আবার কি দুইয়ে ফিরতে পারবে মোহনবাগান? ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর মর্গ্যান রবিবার জিতেও স্বীকার করে নিয়েছেন, ডেম্পোকে এখন টপকানো রীতিমতো কঠিন। সুব্রত ভট্টাচার্য কিন্তু আশা ছাড়েননি।
সুব্রতর স্বপ্ন সফল হবে কিনা সেটা অনেকটাই নির্ভর করছে ওডাফা ওকোলির উপর। এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে সুব্রতর দলে যে আজ ওই একজনই বিদেশি! সদস্য-সমর্থকরা চিন্তায় থাকলেও এই পরিস্থিতিতে অবশ্য একেবারেই চিন্তিত নন মোহন-টিডি। |
রবিবার সন্ধ্যায় ছত্রপতি শিবাজি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বসে পুণে-পৈলান দেখতে দেখতে মোহন টিডি ফোনে বললেন, “সারা বছর একসঙ্গে তিন বিদেশিকে ক’টা ম্যাচে পেলাম? চোট-আঘাত আছে। এ সব নিয়েই খেলতে হবে।” বিদেশি নয়, সুব্রতর প্রধান চিন্তা দলের ছেলেদের মনঃসংযোগ। সুব্রত বলছিলেন, “অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে এলে সমর্থকদের চাপ থাকে না। তা-ছাড়া কলকাতা লিগের ম্যাচটা বাদ দিলে আমরা খেলব বহু দিন পর। এ রকম ক্ষেত্রে মনঃসংযোগে একটু সমস্যা হয়।” এয়ার ইন্ডিয়াকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। তবে সুব্রত জানালেন, ম্যাচের আগের দিন সকালে প্র্যাক্টিস করলেও চূড়ান্ত একাদশ এখনও ঠিক করেননি। হোটেল সূত্রের খবর, এরিয়ানের বিরুদ্ধে হাফ ডজন গোলে জয়ী দলই খেলার সম্ভাবনা। চোটের জন্য দলের সঙ্গে না যাওয়া হোসে ব্যারেটোর জায়গায় শুরু থেকেই সুনীল ছেত্রী খেলবেন। অর্থাৎ, ওডাফা-সুনীল ছেত্রীই শুরু করছেন। মাঝমাঠে খেলতে পারেন এন পি প্রদীপ, রাকেশ মাসি, স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও মনীশ মৈথানি। দুই সাইডব্যাক রহিম নবি এবং সুরকুমার সিংহ। আর স্টপারে কিংশুক-আনোয়ার। এ দিকে যে স্টেডিয়ামে ২৪ ঘণ্টা পর ওডাফারা খেলবেন সেখানেই আলো নিভে যায় পুণে-পৈলানের ম্যাচ চলাকালীন। ইস্টবেঙ্গল-পুণে ম্যাচের সময়েও মিনিট দশেকের জন্য আলো নিভে গিয়েছিল। আলো নিয়ে সুব্রতর মাথাব্যথা নেই। তাঁর চিন্তা এখন শুধুই ম্যাচ জিতে ডেম্পোকে তাড়া করা।
|