|
|
|
|
| |
| মোগলমারির খননে ফের মিলল বুদ্ধমূর্তি |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
| ষষ্ঠ পর্যায়ের খননকার্যে শনিবার দাঁতনের মোগলমারিতে উদ্ধার হল ভিন্ন মুদ্রার ছ’টি বুদ্ধ মূর্তি। রবিবারও খননকাজ চলে। উদ্ধার হয় আরও ৮টি মুদ্রার মূর্তি। গত কয়েক দিনের খননে পাওয়া গিয়েছে চারটি ‘ভোটিভ ট্যাবলেট’। ১০ সেন্টিমিটার ব্যাসবিশিষ্ট চাকতির ন্যায় ট্যাবলেটগুলির মাঝে রয়েছে একটি বড় বুদ্ধ মূর্তি, দু’পাশে দু’টি করে মোট ৪টি ছোট মূর্তি। নীচে দুই স্তরে ৮টি ও ৬টি করে ছোট মূর্তি রয়েছে। মোগলমারির খননকার্যের ডিরেক্টর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অশোক দত্ত বলেন, “বৌদ্ধ বিহারের গর্ভগৃহের বাইরের দেওয়ালে স্ট্যাকোর অলঙ্করণে মূর্তিগুলি রয়েছে। প্রতিটি মূর্তি ভিন্ন মুদ্রার। ৪২/৪২ ইঞ্চির মূর্তিগুলি দু’টি থামের মাঝে বসানো। |
 |
| মোগলমারিতে আবিষ্কৃত বৌদ্ধ বিহারের ভিতর থেকে পাওয়া গেল একটি দেওয়ালের এই অলঙ্করণ। - নিজস্ব চিত্র |
| অশোকবাবু আরও জানান, এই কাঠামো ও অলঙ্করণ ষষ্ঠ-সপ্তম শতাব্দীতে এখানে প্রথম বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের সময়কার। এই অলঙ্করণ নালন্দার সমকালীনও বটে। মুদ্রাগুলির নাম বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে বলে অশোকবাবু জানিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে বোধিসত্ত্ব, জাংগুলি, লোকেশ্বর প্রভৃতি পাওয়া গিয়েছে। মোগলমারির এই বৌদ্ধ বিহারের স্থায়িত্বকাল ছিল ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত। বিহারটি নির্মাণে এখনও পর্যন্ত তিনটি পৃথক পর্যায়ের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ বারবার সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের কাজ চলেছে। এ বারের খনন বিহারের প্রাচীরের বাইরের দেওয়ালে স্ট্যাকোর সিংহমূর্তিও মিলেছে (দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণে স্ট্যাকোর অলঙ্করণ ছিল না)। অশোকবাবুর অনুমান, সম্ভবত বৌদ্ধ জাতকের কাহিনি অবলম্বনে অলঙ্করণগুলি করা হয়েছে। আজ, সোমবার সঙ্ঘগৃহ প্রাঙ্গণে স্থানীয় তরুণ সেবা সঙ্ঘ ও পাঠাগার, দাঁতন ভট্টর কলেজের বৌদ্ধ বিদ্যাচর্চা কেন্দ্র এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে এক প্রদর্শনী এবং ‘অতীত ইতিহাসের আলোকে মোগলমারি, বৌদ্ধ ধর্ম ও দর্শন’ শীর্ষক এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। খননকাজ ২৫ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শনি-রবিবারের খননের পর অশোকবাবু নিশ্চিত গর্ভগৃহের বাইরের দেওয়ালে আরও অলঙ্করণ রয়েছে। ফলে, খননকার্য চালিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে। |
|
|
 |
|
|
