|
|
|
|
কাজিরাঙায় জখম গন্ডার মারাই গেল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
শিকারিদের লোভ থেকে জখম গন্ডারকে বাঁচাতে তার খড়্গটি কেটে নিয়েছিলেন বনকর্মীরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তিন মাস ধরে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে,গোলাঘাট, যোরহাট, মাজুলি, লখিমপুর ঘোরার পরে, গত রাতে, ক্ষতস্থানে সংক্রমণের ফলে মারা গেল জখম গন্ডারটি। যোরহাটের ডিএফও এন কে মালাকার জানান, লখিমপুর-মাজুলির সীমানায়, দিন কয়েক আগে গ্রামবাসীরা গন্ডারটিকে আক্রমণ করেছিলেন। গন্ডারের শরীরে দুটি বর্শা গভীরভাবে গেঁথে যায়। শরীরের পিছনেও ক্ষত ছিল। যোরহাট, মাজুলি, লখিমপুরের বনকর্মীরা নাগাড়ে, গন্ডারটিকে নজরে রাখছিলেন। জখম হওয়ার পরে, গুয়াহাটি থেকে রাইফেল ও ঘুমের ওষুধ নিয়ে চিকিৎসকেরা মাজুলি যান।
মাজুলির বনকর্তা অতুল দাস জানান, ঘুমের ওষুধ ছোড়ার পরেও প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরেছে গন্ডারটি। এরপর, তার খড়্গটি কেটে নেওয়া হয়। তবে, বনকর্তাদের দাবি, খড়্গ যেটুকু কাটা হয়েছে সেখানে কোনও রক্তক্ষরণ হয়নি, ক্ষতও ছিল না। সেটি নেহাতই মৃত কোষ ও লোমগুচ্ছ। তাই, সেপটিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ময়না তদন্তে দেখা গিয়েছে, বর্শার ক্ষত দু’টি থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। গন্ডারের হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুস অবধি সংক্রামিত হয়ে গিয়েছিল। গত কাল সন্ধ্যায়, হঠাৎই পড়ে গিয়ে কাঁপতে থাকে সে। শেষ অবধি শিলাকোলা চাপোড়িতে গভীর রাতে গন্ডারটির মৃত্যু হয়।
অন্য দিকে, লখিমপুরের ফুলবাড়িতে, হাতির পালের হানায় বিস্তর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। হাতির সামনে পড়ে দিল্লু ভট্ট নামে এক ব্যক্তি মারা যান। এই ঘটনায় এলাকায় প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। |
|
|
|
|
|