|
|
|
|
পক্ষিনিবাসে প্রকৃতি পাঠ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে কচিকাঁচাদের নিয়ে প্রকৃতি পাঠ শিবিরের আয়োজন করল রায়গঞ্জের প্রকৃতি প্রেমী সংগঠন হিমালয়ান মাউন্টেনার্স অ্যান্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন। রবিবার দিনভর সংগঠনের তরফে রায়গঞ্জের আব্দুলঘাটার কুলিক পক্ষিনিবাস চত্বরে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০০ জনকে নিয়ে প্রকৃতি পাঠ শিবিরের আয়োজন করা হয়। এদিন ওই শিবিরের উদ্বোধন করেন রায়গঞ্জের বিভাগীয় বনাধিকারিক অপূর্ব সেন। এ ছাড়াও শিবিরে হাজির ছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্ত-সহ বন দফতরের আধিকারিকেরা। রায়গঞ্জের বিধায়ক বনাধিকারিকের কাছে শহরে গাছ লাগানোর জন্য অনুরোধ করেন। পুরসভা গাছের সংরক্ষণ ও পরিচর্যা করবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। ডিএফও বলেন, “প্রকৃতি পাঠ শিবিরের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা যেভাবে তাদের সচেতন করলেন সেটা প্রশংসনীয়।” পরিবেশের ভারসাম্য বজিয়ে রাখতে এদিনের প্রকৃতি পাঠ শিবিরে মূলত অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কচিকাঁচাদের কুলিক পক্ষিনিবাস চত্বরের গাছ, কীটপতঙ্গ ও পশুপাখির সংরক্ষণের ব্যাপারে সচেতন করা হয়। প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখিয়ে খুদে ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন প্রজাতির পশু, পাখি, কীটপতঙ্গ ও গাছ চিনিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বজায়ে তাদের গুরুত্ব বোঝানো হয়। পক্ষিনিবাস চত্বরে বসবাসকারী কয়েকশো প্রজাতির পরিযায়ী ও আঞ্চলিক পাখিদের বাসা ভেঙে ডিম যাতে চুরি করা না হয় সেই ব্যাপারে সচেতন করা হয়। পক্ষিনিবাসে যে সব গাছ মরে গিয়েছে সেই সব গাছ যাতে না কাটা হয় ও পক্ষিনিবাস চত্বরে পড়ে থাকা শুকনো পাতা কুড়িয়ে যাতে জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা না হয় তাও বোঝানো হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়, গাছ কেটে নেওয়ার পাশাপাশি শুকনো পাতা কুড়িয়ে নেওয়া হলে মাটিতে জৈবসার তৈরি হবে না। ফলে, বিভিন্ন কীটপতঙ্গের খাদ্য সঙ্কট দেখা দেওয়ার পাশাপাশি মাটির উর্বরতা কমে যাবে। সারের অভাবে গাছ মরে যাবে। পক্ষিনিবাস চত্বরে বসবাসকারী খরগোস, কচ্ছপ, সাপ, বিভিন্ন প্রজাতির কীটপতঙ্গ ও প্রায় ৫০ প্রজাতির প্রজাপতি যাতে না মারা হয় সেই ব্যাপারেও এ দিন কচিকাঁচাদের সচেতন করা হয়। |
|
|
|
|
|