সেতু ভেঙেছে এক বছর আগে। সেই সেতু মেরামতির দাবি এবং নতুন একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি তুলেছিলেন গ্রামবাসীরা। তা আজও পূরণ হয়নি। তাই হাওড়ার পাঁচলার শুভরআড়া পঞ্চায়েতের রাজাপুর খাল পেরোতে গ্রামবাসীদের ভরসা কলার ভেলা। অনেককে আবার প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
ওই খালের উপরে ১২০ ফুট লম্বা এবং ৬ ফুট চওড়া কাঠের সেতুটি সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছিল প্রায় ৩০ বছর আগে। দু’পাড়ের হাঁড়ির ডাবর, সাঁইহাটি, গর্দান, গাব্বেড়িয়া, সুরুল, সিদ্ধেশ্বর, নস্করপুর, জুজারসাহার মতো ১০-১২টি গ্রামের মানুষ ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতেন। তা ছাড়াও, সাইকেল, ভ্যানরিকশা, যন্ত্রচালিত ভ্যান, মোটরবাইকের মতো যানবাহনও চলত। কিন্তু সেতু ভেঙে পড়ায় সবই এখন বন্ধ। ফলে, সমস্যায় পড়ছেন গ্রামবাসীরা। রোগীদের নিয়ে যাতায়াত করতে তাঁদের বিস্তর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। |
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৈরির পর থেকে সেতুতে মাঝেমধ্যে সামান্য জোড়াতালি মেরে সংস্কার কাজ হয়েছে। ভাল ভাবে দেখভাল করা হয়নি। সেই কারণেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে। শুভরআড়া গ্রামের বাসিন্দা জিগরিয়া সাহা বলেন, “চার বছর ধরে সেতুটি জীর্ণ। তার উপর দিয়েই কোনও রকমে যাতায়াত চলছিল। এক বছর আগে সেতুটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। এখন আমাদের যাতায়াতের ভরসা শুধুই কলার ভেলা।” ওই সেতুর পাশে একটি নতুন সেতুর দাবিও তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
কেন সেতুটি মেরামত করা গেল না?
পঞ্চায়েত প্রধান নার্গিস মল্লিক বলেন, “পঞ্চায়েতের আর্থিক ক্ষমতা সীমিত। মাঝেমধ্যে আমরা সেতুটি মেরামত করেছি। সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়ার পরে আমরা সেচ দফতর এবং স্থানীয় বিধায়ককে জানিয়েছি। সেতুটি মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে সেচ দফতর মাপজোকও করে গিয়েছে।” প্রধান আরও জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরে ধান নিয়ে গ্রামবাসীদের যাতায়াতের জন্য পঞ্চায়েতের তরফ থেকে মাস চারেকের জন্য সালতির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সালতি চলাচল এখন অবশ্য বন্ধ রয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক গুলশন মল্লিক বলেন, “সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরে সেচ দফতরকে মেরামতির জন্য জানিয়েছি। ওরা আপাতত সেতুটি মেরামত করে দেবে বলে জানিয়েছে।” সেচ দফতরের হাওড়া ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্থাভাবে এখনই সেতু মেরামতির কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। টাকা এলে সেই কাজ শুরু হবে। |