এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগে রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের দুই জওয়ান-সহ চারজনকে গ্রেফতার করল মণিপুর পুলিশ। বিষ্ণুপুর জেলার এসপি রাধেশ্যাম সিংহ জানান, গত বুধবার অভিযোগকারিণী ওই মহিলা তামেংলং থেকে ইম্ফল আসছিলেন। পেশায় তিনি লঙ্কা-বিক্রেতা। মহিলার অভিযোগ, অভিযুক্ত চারজন তাঁকে বলপূর্বক কেউনোউ এলাকার নির্জন একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর মহিলার সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা ও ৪০ কিলো লঙ্কাও কেড়ে নিয়ে তারা পালায়।
গ্রেফতার হওয়া দুই জওয়ানের নাম হাবিলদার চুংখাম ইবোমোচা ও রাইফেলম্যান ক্ষেত্রিমায়ুম কেনেডি। বাকি দুইজনের নাম সালাম বিজেন ও লাইখুরাম রঞ্জিৎ। তাঁরা ওই জওয়ানদের বন্ধু। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই মানবাধিকার ও নারী সংগঠনগুলি ধৃতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। পুলিশ জানায়, জেরায় অভিযোগ স্বীকার করেছে চারজনই। এ দিকে, জঙ্গি সংগঠন ইউএনএলএফ ঘোষণা করেছে, ধর্ষণের অভিযোগে ধৃতদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। তাদের হুমকি, পুলিশ, আদালত, জেল বা জামিনের পর্ব মিটিয়ে মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চারজনকে হত্যা করা হবে। অবশ্য, তারা চাইলে, স্বেচ্ছায় জঙ্গি আদালতে হাজির হতে পারে। এর আগে, ১৯৯০-এর দশকেও, ধর্ষণ-বিরোধী অভিযান শুরু করেছিল ইউএনএলএফ। তখন অনেক অভিযুক্তকেই হত্যা করেছিল এই জঙ্গি সংগঠনের ক্যাডাররা।
জমি নিয়ে সংঘর্ষ। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জবরদখল করে রাখা জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে সংঘর্ষের মুখে পড়ল পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালাল পুলিশ। ছোড়া হল কাঁদানে গ্যাস। ঘটনাটি ঘটেছে মরিগাঁও জেলার ভোজাখাটি এলাকায়। এতে, তিন গ্রামবাসী জখম হন। ব্রহ্মপুত্রের তীরে ওই জমিটি জবরদখল করে রাখায় গত ৬ বছর ধরে, বাঁধ বানানো যাচ্ছে না। এ দিকে, প্রকল্পটি বাবদ আসা সাড়ে তিনশো কোটি টাকার পড়ে থেকেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও গ্রামবাসীরা জমি না ছাড়ায় গত কাল, জেলা প্রশাসন পুলিশ নিয়ে জমি অধিগ্রহণ করতে হাজির হলে প্রতিরোধ করে ১৭টি পরিবার। |