বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পুরনো আয়কর মামলা নতুন করে শুরু করাটা আদৌ সরকারের উদ্দেশ্য নয়। এ ব্যাপারে সরকারের কোনও ‘প্রতিশোধস্পৃহা’ নেই। তাই সেই উদ্দেশ্যে বাজেটে আয়কর আইনে সংশোধনী আনা হয়নি বলে রবিবার শিল্পমহলকে আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়।
ওই সব মামলা যে আর আনা হবে না, সে কথাও স্পষ্ট করে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বণিকসভা সিআইআইয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রণববাবু বলেন, আয়কর বিভাগ ‘পুলিশ’-এর মতো ধরপাকড় শুরু করবে না।
বাজেটে আয়কর আইনের বিশেষ সংশোধনী প্রস্তাব অনুসারে ভারতে ব্যবসার যোগসূত্র থাকলে, ভারতীয়, অনাবাসী বা বিদেশি সবাই উৎসে কর কাটিয়ে তা এ দেশে জমা দিতে বাধ্য হবেন। লেনদেন বিদেশের মাটিতে হলেও করের আওতায় আসবেন তিনি। এই সংশোধনী কার্যকর ধরা হবে ১৯৬২ সালের ১ এপ্রিল থেকে।
শিল্পমহলের আশঙ্কা ভোডাফোন-হাচিসনের মতো ব্যবসায়িক লেনদেনকে করের আওতায় আনতে বাজেটে আয়কর আইনে বিশেষ সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে।
যার জেরে নতুন করে শুরু হতে পারে ভোডাফোন মামলা। এ ধরনের আরও কয়েকটি মামলায় কেন্দ্রের প্রাপ্য ধরা হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। সেই প্রসঙ্গে এ দিন প্রণববাবু আশ্বাস দেন, “শিল্পমহল এবং সরকারের মধ্যে আস্থার সম্পর্কে কোনও ছেদ পড়েনি।”
শিল্পপতি রাহুল বাজাজ এই সংশোধনীর ফলে আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা জানান। তার উত্তরে প্রণববাবু বলেন, “আমাদের সাবধানে পা ফেলতে হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০০৭-এ হংকং-ভিত্তিক মোবাইল পরিষেবা সংস্থা হাচিসন-এসারে হাচিসনের ৬৭% শেয়ার প্রায় ১,১০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে হাতে নেয় ব্রিটিশ বহুজাতিক সংস্থা ভোডাফোন। কিন্তু কেন্দ্রের দাবি সত্ত্বেও এ জন্য ভারতে কোনও কর জমা দেয়নি তারা। সংস্থাটির তরফে যুক্তি ছিল, চুক্তি সই হয়েছে বিদেশে। ফলে, এ জন্য কোনও কর দাবি করতে পারে না কেন্দ্র। তবে সুপ্রিম কোর্টে ভোডাফোন মামলার রায়ও যায় সংস্থার পক্ষেই। |