|
|
|
|
জোট গড়ে পুর-বোর্ড কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসের জোটের পুরবোর্ড তৈরি হল ডালখোলায়। তৃণমূলে যোগ দেওয়া তিন কাউন্সিলরকে নিয়েই ফের পুরবোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়। সেখানে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ওই তিন কাউন্সিলর কংগ্রেসের সুভাষ গোস্বামীকে সমর্থন করেন। ওই তিনজনের মধ্যে তনয় দে ২০০৮ সালে পুরভোটের পর দুই কাউন্সিলরকে নিয়ে কংগ্রেস থেকে বার হয়ে সুভাষবাবুর বিরুদ্ধেই অনাস্থা এনেছিলেন। পরে তনয়বাবু সিপিএমের সমর্থন নিয়ে পুর চেয়ারম্যান হন। গত বছর ১৯ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন। এদিন নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন। নতুন সমীকরণে খানিকটা হকচকিয়ে গিয়েছে সিপিএম। দলের ডালখোলার নেতা আবদুল হালিম বলেন, “হঠাৎ করে তনয়বাবু নিজে পদ থেকে সরে গিয়ে কংগ্রেসকে সমর্থন কেন করল তা বুঝতে পারছি না।” এদিন ফের পুর চেয়ারম্যান হওয়ার পর ডালখোলার কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সুভাষবাবু বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে জোট হয়েছে। তাতেই আমি নির্বাচিত হয়েছি। ডালখোলার মানুষের স্বার্থে পুরসভা কাজ করবে।” পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তৃণমূলের তনয়বাবু বলেন “আমি স্বেচ্ছায় নিজের পদ থেকে সরে গিয়েছি। আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। তৃণমূলে থেকে সিপিএম-এর সঙ্গে একই বোর্ডে থাকা যায় না। আর আমি কোনও ব্যক্তিকে সমর্থন করিনি। জোটের শরিক কংগ্রেসকে সমর্থন করেছি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “পুরোটাই স্থানীয় বিষয়। কংগ্রেসের তরফে সমর্থনের জন্য চিঠি দিয়ে আবেদন করা হয়েছিল।” ডালখোলার পুরসভার মোট আসন সংখ্যা ১৪। গত ২০০৮ পুরসভার নির্বাচনে ৯টি কংগ্রেসের দখল করে। ৫টি আসন পায় সিপিএম। সুভাষবাবু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে তনয়বাবুর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ৩ কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। বামেদের সমর্থনে তিনি চেয়ারম্যান হন। পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস কাউন্সিলর মারা যান। এদিন ৮-৫ ভোটে সুভাষবাবু নির্বাচিত হন। |
|
|
|
|
|