না জানিয়ে দফতরে গরহাজির
বেতন বন্ধ কৃষিকর্তার
নুমতি না নিয়ে অফিসে গরহাজির থাকার অভিযোগে কোচবিহারের মুখ্য কৃষি আধিকারিকের বেতন আটকে দিয়েছে রাজ্য কৃষি দফতর। এতে ফেব্রুমাসি মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না মুখ্য কৃষি আধকিারিক অরুণ রায়। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে স্টেট এগ্রিকালচারাল টেকনোলজিস্ট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (অরিজিন্যাল) বা ‘স্যাটসার’। উত্তরবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সহকারি কৃষি অধিকর্তা নারায়ণ চন্দ্র সামন্ত বলেন, “অনুমতি না নিয়ে গরহাজিরার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কোচবিহারের মুখ্য কৃষি আধিকারিকের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই আধিকারিককে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে হবে। তার পরে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দুই বছর আগে জেলার মুখ্য কৃষি আধিকারিকের দায়িত্ব নেন অরুণবাবু। তারপর থেকেই ঘনঘন তিনি সরকারি কাজের প্রয়োজনে কলকাতা যাতায়াত করতেন। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বৈঠকেও তিনি মাঝেমধ্যে গরহাজির থাকতেন বলে অভিযোগ। গত ৫-১০ ফেব্রুয়ারি অরুণবাবু কলকাতায় ছিলেন। ওই সময় মহাকরণে কৃষি দফতরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ। এর পরেই রাজ্য কৃষি দফতরের পদস্থ কর্তারা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন। এর পরেই অনুমতি না নিয়ে গরহাজির থাকার বিষয়টি সামনে আসে। রাজ্যের কৃষি সচিব তাঁর বেতন বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উত্তরবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সহকারি কৃষি অধিকর্তাকে নির্দেশ দেন। বিষয়টি কোচবিহারের জেলাশাসককেও জানানো হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি কৃষি সচিবের পাঠানো ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের তরফে ট্রেজারি কর্তৃপক্ষকে অরুণবাবুর বেতন আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানান, নিয়ম অনুযায়ী জেলার বাইরে যাওয়ার আগে মুখ্য কৃষি আধিকারিককে উত্তরবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সহকারি কৃষি অধিকর্তার অনুমতি নেওয়া এবং জেলাশাসককে তা জানিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু অরুণবাবু তা করেননি বলে অভিযোগ। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে কৃষি দফতরের নির্দেশের প্রতিলিপি পাওয়ার পরেই ট্রেজারি অফিসারকে ওই আধিকারিকের বেতন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।” অরুণবাবু অবশ্য গোটা বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অরুণবাবুর সংগঠন স্যাটসার জেলার নেতারা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, “বেতন বন্ধ করার আগে মুখ্য কৃষি আধিকারিককে শোকজ পর্যন্ত করা হয়নি। তাছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসের ব্যাপারে অভিযোগ থাকলেও মার্চ মাসে উনি নিয়মিত অফিস করেছেন। তারপরেও মার্চের বেতনের বিল ট্রেজারি আটকে দিয়েছে।” সংগঠনের জেলা সম্পাদক সুধীর পাল বলেন, “একে ফেব্রুয়ারির অভিযোগের জন্য শোকজ না করেই অরুণবাবুর বেতন বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মার্চে তো উনি নিয়মিত অফিস করেছেন। তারপরেও ওঁর বেতনের বিল আটকে যাওয়াটা দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.