|
|
|
|
খেতে মেয়ে ফেলে মা উধাও গাজলের গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
ঠা ঠা রোদের মধ্যে গম খেতে ফেলে রাখা মাস পাঁচেকের এক শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলেন গ্রামবাসীরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজলের চকসুন্দরপুর গ্রামে। রোদের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখায় শিশু কন্যাটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যায় তাকে গাজল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শিশু কন্যার মা ললিতা হেমব্রমেরও কোনও হদিশ মিলছে না। গত মঙ্গলবার মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন ললিতা দেবী। তিনি মেয়েকে গম খেতে পালিয়ে গিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গাজল থানার ওসি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “পারিবারিক অশান্তির জেরে শিশু কন্যাকে ফেলে তার মা পালিয়ে গিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। শিশুটিকে ঠাকুমার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন শিশুটি গাজল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এই ব্যাপারে কেউ কোনও অভিযোগ জানাননি। শিশু কন্যাকে ফেলে ওই মহিলা যে কোথায় পালিয়ে গিয়েছেন তা গ্রামের কেউ বলতে পারছেন না। আমরা ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছি।” |
|
গাজল হাসপাতালে অসুস্থ শিশুকন্যার ছবিটি তুলেছেন মনোজ মুখোপাধ্যায়। |
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি পাগলাকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ললিতা দেবীর স্বামী পরগন সোরেন ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছেন। পরগনের ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার সিদ্ধান্তে আপত্তি ছিল ললিতা দেবীর। তার জেরে ললিতা দেবী মেয়েকে পাশের চকসুন্দরপুর গ্রামের গম খেতে ফেলে গিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। শিশুর ঠাকুমা কান্দি মুর্মু পুলিশকে তেমনই জানিয়েছেন। পুলিশকে তিনি জানান, শিশু কন্যার জন্মের পর থেকে ছেলের সঙ্গে পুত্রবধূর গোলমাল চলছিল। পুত্রবধূর আপত্তি সত্ত্বেও তাঁর ছেলে দাদন নিয়ে ভিন রাজ্যে কাজে চলে যায়। মঙ্গলবার সকালে মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য পুত্রবধূ বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন। তার পরে আর বাড়িতে ফেরেনি। তাঁর সন্দেহ, ছেলেকে জব্দ করতেই পুত্রবধূ শিশু কন্যাকে গমের খেতে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে। চকসুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজেদা বিবি জানান, বুধবার দুপুরে তিনি নিজের খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে পাশের গম খেতের উপরে বেশ কিছু পাখি উড়তে দেখেন। পাশাপাশি শিশু কন্যার কান্নার শব্দ পান। সামনে গিয়ে দেখেন মেয়েটি একা পড়ে রয়েছে। ওই মহিলা বলেন, “এরপর ওই শিশু কন্যাটিকে গ্রামে নিয়ে আসি। বাড়িতে আনার পরেই শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল। তখন চিকিৎসার জন্য গাজল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি।” খোঁজখবর করতে গিয়ে গ্রামের লোকেরা জানতে পারেন পাশের গ্রামের ললিতা দেবীর নিখোঁজ হওয়ার কথা। |
|
|
|
|
|