|
|
|
|
ভূগর্ভস্থ জল বাঁচাতে স্মারকলিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শহর জুড়ে গভীর নলকূপ বসিয়ে পাম্প চালিয়ে যথেচ্ছ ভূগর্ভস্থ জল তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমী সংস্থা হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন (ন্যাফ)। বৃহস্পতিবার বিষয়টি তুলে ধরে আশঙ্কার কথা জানিয়ে সমস্যা মেটাতে পুরসভার মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দেন সংস্থার সদস্যরা। তাদের দাবি, শহর জুড়ে আবাসন প্রকল্প, বাণিজ্যিক ভবন গড়ে উঠছে। লোক সংখ্যা বাড়ছে। জলের চাহিদাও তার সঙ্গে বেড়েছে। তা মেটাতে যথেচ্ছ ভাবে ভূগর্ভস্থ জল তোলা হচ্ছে। ভুগর্ভস্থ জলস্তর নেমে গেলে জলের সঙ্কটের সৃষ্টি হবে। বিপন্ন হয়ে পড়বে পরিবেশ। তাই এখই সতর্ক হতে হবে। যত্রতত্র পাম্প সেট বসিয়ে মাটির গভীরের জল তোলা বন্ধ করতে পুর কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। শহরের বাড়িগুলি এবং বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। বাসিন্দাদের রোজকার প্রয়োজন মেটাতে ভূপৃষ্টের জলের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে হবে। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে গেলে তা সঙ্কটের কারণ হবে। নতুন ভবন তৈরির ক্ষেত্রে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে তা দেখা হয়। তবে নিয়মিত তদারকির প্রয়োজন। তা যাতে হয় দেখা হবে। জলের অপচয় বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাস্তার ধারের পানীয় জলের কল ভেঙে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই জল নষ্ট হচ্ছে। ১নম্বর বরোতে সেই সমস্ত কলগুলি মেরামতের কাজ হচ্ছে। অন্যত্র তা করা হবে।” ভূগর্ভস্থ জল তোলা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সমীক্ষা করানোর হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। এ দিন ন্যাফের তরফে স্মারকলিপি দিতে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার মুখপাত্র অনিমেষ বসু, সুজিত রাহা, প্রদীপ নাগরা। অনিমেষবাবু, সুজিতবাবুরা জানান, যথেচ্ছভাবে ভূগর্ভস্থ জল তোলা যে কতটা বিপজ্জনক বাসিন্দাদের সচেতন করতে এ ব্যাপারে প্রচার চালানো প্রয়োজন। নতুন বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে নির্মাণ কাজের জন্যও পাম্প বসিয়ে ভূগর্ভস্থ জল তোলা হচ্ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে শহরে জলের সঙ্কট দেখা দেবে। এখন থেকেই তাই সাবধান হওয়া দরকার। |
|
|
|
|
|