|
|
|
|
আগুন থেকে রক্ষা পুরসভার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল শিলিগুড়ি পুরসভা। বৃহস্পতিবার পুরসভার একতলায় লাইসেন্স বিভাগের ঘরে বৈদ্যুতিক লাইনে শর্ট সার্কিট হয়ে স্ফুলিঙ্গ এবং ধোঁয়া বার হয়। শর্ট সার্কিটের জেরেই শব্দ-সহকারে বৈদ্যুতিক লাইনের ওই অংশ থেকে আগুনের ফুলকি বার হতে থাকে। ঘটনাচক্রে ওই সময় ঘরের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তিনিও দেখেন শর্ট সার্কিটের জেরে ফুলকি এবং ধোঁয়া বার হচ্ছে। ভয় পেয়ে যান ওই বিভাগের কর্মীরাও। দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। কেন না ঘরের ওই অংশে কংক্রিকেটর তাকে পুরনো নথিপত্র বোঝাই করে রাখা। তখনই বৈদ্যুতিক বিভাগের লোকদের ডেকে ‘মেন সুইচ’ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বৈদ্যুতিক লাইন মেরামত করা হয়।
মেয়র বলেন, “শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বার হচ্ছিল। তখনই বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি ডেকে সুইচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। লাইনের ওই অংশে কোনও গোলমাল রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভয়ের কারণ নেই।”
বছরখানেক হতে চলল শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল মেয়রের চেম্বার। সে সময় পুরসভার বৈদ্যুতিক লাইনের পুরনো ওয়ারিং সংস্কারের দাবি তোলেন সকলেই। নড়েচড়ে বসেন পুর কর্তৃপক্ষ। দোতালার বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার করা হলেও নিচ তলার করিডরের অংশে বৈদ্যুতিক লাইন আগের মতোই রয়ে গিয়েছে। সেটাই আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্মীদের কাছে। এ দিন ওই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন লাইসেন্স বিভাগের কর্মীরা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, ঘরটি পুরনো নথিপত্রের ফাইলে ভর্তি হয়ে জতুগৃহে পরিণত হয়ে রয়েছে। কংক্রিটের তাক থেকে মেঝে সর্বত্রই কাগজপত্র স্তূপীকৃত হয়ে রয়েছে। তার উপর আগুনের ফুলকি পড়লে যে কোনও সময় নথিপত্রের গাদায় আগুন লেগে যেতে পারে। ঘরটি থেকে বার হওয়ার একটি মাত্র দরজা। দরজার উপরে বৈদ্যুতিক লাইনে শর্ট সার্কিট হয়ে ফুলকি, ধোঁয়া দেখে কর্মীরা অনেকেই দরজা দিয়ে বাইরে বার হতে ভয় পান। ঘরের মধ্যেই আটকে পড়েন তাঁরা। তবে দ্রুত বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের মিস্ত্রি গিয়ে মেন সুইচ বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দেন। কর্মীদের একাংশের প্রশ্ন, পুরসভার করিডরে রাতভর আলো জ্বলে। অন্যান্য অংশে আলো নেভানো থাকলেও ওই অংশে তা হয় না। করিডরের অংশে বৈদ্যুতিক লাইনের তারগুলিও পুরনো, জীর্ণ হয়ে পড়েছে। বারবার বলা হলেও তা সংস্কার করা হয়নি। |
|
|
|
|
|