|
|
|
|
জিটিএ-তে তরাই ডুয়ার্সের এলাকা অন্তর্ভুক্তি |
যুযুধান মোর্চা-বিকাশ পরিষদ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
তরাই-ডুয়ার্সের কোনও মৌজাকে জিটিএতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না বলে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাল অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। বৃহস্পতিবার সংগঠনের তরফে জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তরাই বা ডুয়ার্সের কোনও মৌজাকে জিটিএতে অর্ন্তভুক্ত করা হলে প্রতিবাদের রাস্তায় নামার হুমকি দিয়েছে পরিষদ। পাশাপাশি, তরাই এবং ডুয়াসের্র মৌজা জিটিএতে অর্ন্তভুক্ত করার পাল্টা দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শিলিগুড়ি মহকুমা কমিটি। চা বাগানে গেট মিটিং-এর পাশাপাশি পদযাত্রার ডাক দিয়েছে মোর্চা। এ দিন শালবাড়ি এলাকায় সংগঠনের একটি জরুরি বৈঠকও হয়। পরিষদের তরাই ডুয়ার্স আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক রাজেশ লাকড়া বলেন, “জিটিএতে ডুয়ার্স বা তরাইয়ের কোনও এলাকাকে অর্ন্তভুক্ত করা যাবে না। তার চেষ্টা হলেই ডুয়ার্স জুড়ে আন্দোলন হবে। সর্বশক্তি দিয়েই তা আটকানো হবে।” মোর্চার শিলিগুড়ি মহকুমা কমিটির নেতা শঙ্কর অধিকারী পাল্টা বলেন, “জিটিএতে তরাই এবং ডুয়ার্সকে অর্ন্তভুক্ত করতে হবেই। আগামী রবিবার শালবাড়ি থেকে দার্জিলিং মোড় অবধি পদযাত্রা হবে। প্রতি রবিবার বাগডোগরা, সুকনা এবং শালুগাড়ায় সভা, মিছিল হবে।” উল্লেখ্য, আগামী শনিবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের বৈঠক হবে। দুই সপ্তাহ আগেও জেলা সদরে এসে একই দাবিতে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় পরিষদ। ডুয়ার্সের মধু ও ঢেকলাপাড়া চা বাগান খোলা, চা শ্রমিকদের ন্যায্য সুয়োগসুবিধে দেওয়ার দাবিও এ দিন পরিষদের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে জানানো হয়। পরিষদের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি তেজকুমার টপ্পো বলেন, “পরিষদের থেকে বহিষ্কৃত কিছু নেতা একসময়ে ডুয়ার্সের বাসিন্দাদের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সবই ছিল গোর্খাল্যান্ডে অর্ন্তভুক্তির কৌশল। সাধারণ বাসিন্দারা সব বুঝেছেন। এবার যদি সরকারি তরফে জিটিএতে ডুয়ার্স বা তরাইয়ের অর্ন্তভুক্তির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়, পথে নামতে বাধ্য হব।” পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ। অপহৃত ছেলেকে উদ্ধারে মালদহের পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন কালিয়াচকের এক বধূ। তাঁর অভিযোগ, গত ১৭ মার্চ ৭-৮ জন দুষ্কৃতী তাঁর ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সলেমান শেখকে স্কুল থেকে ফেরার পথে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাকে অপহরণ করে। দুষ্কৃতীরা ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও দাবি করে। সেদিনই ফরিদা বিবি নামে ওই মহিলা কালিয়াচক থানায় অভিযোগ করেন। ছেলে উদ্ধার না হওয়ায় বৃহস্পতিবার তিনি পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|