|
|
|
|
লোহাচুর মামলা |
৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ নরেনকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আট বছর আগেকার লোহাচুর দুর্নীতির ঘটনায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী নরেন দে-কে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিআইজি সিআইডি (অপারেশনস) কারিয়াপ্পা জয়রামনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা অফিসারেরা পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করেননি।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে খাদ্য দফতরের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ অত্যাবশ্যক পণ্য সরবরাহ নিগম গঠন করা হয়। তার চেয়ারম্যান ছিলেন নরেনবাবু। বিদেশের দু’টি সংস্থাকে ১৯৩ কোটি টাকার লোহাচুর রফতানি করা হয়েছে বলে জানায় নিগম। এতে ১৯৩ কোটি টাকার লোকসান হয়। এই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রশ্ন ওঠে দু’টি সংস্থার বৈধতা নিয়েও।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশ এই দুর্নীতির ঘটনার তদন্ত শুরু করে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে। পরে তদন্তভার নেয় সিআইডি। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আইএএস দেবাদিত্য চক্রবর্তী এবং অন্য এক ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা। সেই দুর্নীতির মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী।
সিআইডি সূত্রের খবর, নিগমের বিভিন্ন লেনদেনের বিষয়ে চেয়ারম্যান কতটা ওয়াকিবহাল ছিলেন, নরেনবাবুর কাছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ২০০৪ সালের এপ্রিলে নিগম গঠনের পরেই দু’টি বিদেশি সংস্থার কাছে লোহাচুর রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মাস ছয়েক পরে নিগমের প্রথম বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার মাস ছয়েক আগেই কী ভাবে রফতানির জন্য ওই দু’টি সংস্থাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিআইডি জানিয়েছে, ওই দু’টি সংস্থার মধ্যে একটি ১৯৯৭ সালেই বন্ধ হয়ে যায়। অন্য সংস্থাটির কোনও বৈধতাই ছিল না। এই ধরনের দু’টি সংস্থার কাছে লোহাচুর রফতানিতে নরেনবাবুর কী ভূমিকা ছিল, তা যাচাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে নরেনবাবুকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান জয়রামন। |
|
|
|
|
|