উমরাপুর পঞ্চায়েত অফিসে কংগ্রেস ও সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘর্ষ হয়। ভাঙচুর করা হয় অফিস ঘর। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচ জন।
সুতি-২ ব্লকের উমরাপুর পঞ্চায়েতের একটি রাস্তা তৈরির জন্য বেনিফিসিয়ারি কমিটি গঠন করতে একটি সভা ডাকেন পঞ্চায়েত প্রধান। এলাকাবাদ গ্রাম থেকে উমরাপুরের মাস্টার পাড়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ওই মাটির রাস্তা নির্মাণে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাস্তাটি তৈরি হবে পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে। এলাহাবাদ গ্রামের পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য কংগ্রেসের। উমরাপুরের সদস্য সিপিএমের। এ দিনের সভায় উভয় দলের সমর্থকেরাই হাজির ছিলেন। বৈঠকে দু’দলেরই ৫ জন করে মোট ১০ সদস্যের নামও চুড়ান্ত করা হয়। কিন্তু সাপারভাইজার নিয়োগের প্রশ্নে গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়। দু’দলেরই দাবি, সুপারভাইজার নিয়োগ করতে হবে তাদের দল থেকে। এই নিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। অফিসঘরের চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর করেন দু’দলের সদস্য-সমর্থকেরা। ব্লক অফিসের দুই প্রতিনিধি কোনও রকমে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান মজিবুল রহমান বলেন, “আমরা চাই রাস্তার কাজ ভালভাবে এগোক। কাজ ভেস্তে দিতেই ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এর ফলে নির্মাণে ব্যাঘাত ঘটবে।” পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের গোলাম নাসের বলেন, “উমরাপুরে সভা ডাকলে অশান্তি হতে পারে এই আশঙ্কার কথা আগেই বিডিও-কে জানিয়েছিলাম।” উমরাপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মর্জিনা বিবি বলেন, “এলাকার রাস্তাঘাট বেহাল। নিজেরা এ ভাবে ঝামেলায় জড়ালে উন্নয়ন হবে কী করে! বিডিও-কে বলে ব্লক অফিসে ফের সভা ডাকতে বলা হয়েছে।” বিডিও সুকুমার বৈদ্য বলেন, “সভা ঘিরে অশান্তি ও ভাঙচুর হয়েছে। ব্লক অফিসের প্রতিনিধিরা ওখানে গিয়েছেন। ওদের রিপোর্ট হাতে পেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকার মানুষ নিজেদের মধ্যে ঝআমেলা করলে রাস্তা তৈরি করা যাবে না। অথচ এই রাস্তার দাবি করেই এলাকাবাসী এর আগে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন।” |