জমি দখল করে রাস্তা তৈরির নালিশ
দিবাসীদের জমি জোর করে দখল করে রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত শিবনিবাস গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বুধবার কৃষ্ণগঞ্জের মধুপুর গ্রামে জোর করে ১৩টি আদিবাসী পরিবারের ঘর ভেঙে ইটের রাস্তা তৈরি করেছে পঞ্চায়েত। আদিবাসীরা বাধা দিতে গেলে তাদের মারধরও করা হয়। ওই দিন বিকেলেই আদিবাসীরা কৃষ্ণগঞ্জ থানা এবং স্থানীয় বিডিওর কাছে অভিযোগ জানান।
কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বুলবুল বাগচী বলেন “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যে জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে তার মালিকানা নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীঘর্দিন ধরে রেল লাইনের পাশের ওই রাস্তাটিকেই স্থানীয় বাসিন্দারা মধুপুর-তারকনগর যাওয়ার রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। বছর খানেক আগে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে মাটি ফেলে সেখানে পাকা রাস্তাও তৈরি করেছে পঞ্চায়েত। এ বার ইট পাতার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় ইট পড়তেই বেঁকে বসে স্থানীয় ১৩ টি আদিবাসী পরিবার। বুধবার তাদের বাড়ির একটা অংশ ভেঙে রাস্তার কাজ শুরু হতেই আদিবাসী কানাই সিংহ, খোকন সর্দারেরা বলেন, “জমি আমাদের। আমরা কয়েকদিন আগে কিনে ওই জায়গাটা কিনে নিয়েছি। তারপরেও পঞ্চায়েত জোর করে রাস্তা তৈরি করল। ঘর ভাঙার সময় আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের মারধরও করা হয়েছে।” এ ঘটনায় প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলও। কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূলের ক্ষুদিরাম ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত একেবারেই ঠিক কাজ করেনি। এতগুলো আদিবাসী পরিবারকে বাস্তুহীন করা ঠিক হয়নি। জমিটা ওই ১৩টি পরিবার মিলে কিনেছে। পঞ্চায়েত সেই জমি জোর করে দখল নিয়ে রাস্তা বানাল কেন?” এ ব্যাপারে তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। দলের জেলা নেতৃত্বকেও এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন ক্ষুদিরামবাবু। শিবনিবাস পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের কামনা সরকারের স্বামী ধীমানবাবু কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। তিনি বলেন, “৩০ বছর ধরে মানুষ ওই রাস্তা ব্যবহার করে আসছেন। আজ সেটা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে গেল?” মারধরের অভিযোগও তিনি মানতে চাননি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.