|
|
|
|
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়ে হাইকোর্টে তলব সুপারকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল গড়িমসি করায় খোদ সুপারকে রিপোর্ট হাতে কলকাতা হাইকোর্টে আসতে বলল ডিভিশন বেঞ্চ। একটি বধূহত্যার মামলায় অভিযুক্তপক্ষের আগাম জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। জেলা হাসপাতালের সুপার সুপ্রকাশ বাড়ুই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের সুপার অবসর নেওয়াতেই যত গণ্ডগোল। ডামাডোলের মাঝে পড়ে আটকে গিয়েছে রিপোর্ট। সবে গত সোমবার কাজে যোগ দিয়েছেন নতুন সুুপার সুপ্রকাশবাবু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পটাশপুর থানার গোমাড়া গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা বধূ রূপালি বেরার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ১ মার্চ পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। কাঁথি হাসপাতাল আবার তা ‘রেফার’ করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে। ৩ মার্চ জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্ত হয়। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই হাসপাতালের সুপার নিমাই মণ্ডল অবসর নেওয়ায় কাজকর্ম থমকে যায়। সাময়িক ভাবে দায়িত্ব নেন ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিকে, ৪ মার্চ মৃতার বাবা কানাই সাউ স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও কয়েক জন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মৃতার স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে। মৃতার শ্বশুর অশোক বেরা-সহ বাকি ১৪ জন অভিযুক্ত সম্প্রতি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। তারই শুনানি ছিল বুধবার।
পুলিশ আদালতে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুই বিচারপতি। তখন সরকারপক্ষের আইনজীবী বিচারপতিদের নথি দিয়ে জানান, কাঁথি মহকুমা ও তমলুক জেলা হাসপাতালের অবহেলার কারণেই ময়না-তদন্ত হয়েছে দেরিতে। রিপোর্ট চেয়ে চার বার থানা থেকে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। মৌখিক ভাবেও বেশ কয়েক বার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কাজ হয়নি। এর পরেই ক্ষুব্ধ ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ২৮ মার্চ জেলা হাসপাতালের সুপারকে রিপোর্ট নিয়ে সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। |
|
|
|
|
|