জাতীয় কোচ স্যাভিও মিদেইরার চাকরি যাওয়ার মুখে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন ভাইচুং ভুটিয়া। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের ঘোষণা, “ও নতুন। সবে এসেছে। ওকে আরও সময় দিতে হবে। আমি, দীপক, মহেশ, ক্লাইম্যাক্সরা নেই। নতুনদেরও সময় লাগবে। দু’তিন বছরের মধ্যে ওরা ভাল খেলবে।”
করিম বেঞ্চারিফা আবার ভাইচুংকে জাতীয় দলে ফেরানোর দাবি তোলায় নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আজ কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে আইজল এফ সি-র সঙ্গে ১-১ ড্র করে উঠে ভাইচুং বুঝিয়ে দিলেন, এটা নিয়ে কথা বাড়াতে চান না। তিনি বললেন, “আমাকে নিয়ে বিজ্ঞাপন করা আমার পছন্দ নয়। কেউ প্রচারে আসার জন্য আমাকে ব্যবহার কেউ করলে তা ঠিক নয়। এই মন্তব্য নিয়ে কিছু বলতে চাই না।”
স্যাভিও-কে সমর্থন জানালেও, ভাইচুং এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে দলের পারফরম্যান্সে হতাশ। “এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের পারফরম্যান্সে খুশি নই। এশিয়া কাপের মতো খেলায় সুযোগ কম আসে। এশিয়া কাপে খেলতে পারলেই দেশের ফুটবল এগোবে।” এ দিন প্রায় চল্লিশ মিনিট ম্যাচ খেললেন ভাইচুং। তাঁকে আশাবাদী দেখাল, ইউনাইটেড সিকিমের অন্যতম ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিংগনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আইজলের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখেন সন্দেশ। আগেও একদিন দেখেন। ভাইচুংয়ের মতে, টাফ বলেই লাল কার্ড দেখছেন সন্দেশ।
ইউনাইটেড সিকিমের মতো ইউনাইটেড উত্তরবঙ্গ দল খুলতে চান ভাইচুং। শিলিগুড়িতে ফুটবল অ্যাকাডেমি গড়তে চেয়ে জমি চেয়েছেন তিনি। অ্যাকাডেমি হলে ইউনাইটেড সিকিমের ধাঁচে ‘ইউনাইটেড উত্তরবঙ্গ’ দল গড়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন। আই লিগে সিকিমের সঙ্গে মহমেডানের খেলার সম্ভাবনা বাড়ছে। তাঁর মন্তব্য, “মহমেডান আই-লিগে উঠতেই পারে। তাতে কলকাতার আর এক দল হবে। তবে দেশের ফুটবল কলকাতা কেন্দ্রিক হয়ে পড়াটাও বাঞ্ছনীয় নয়। যত ছড়িয়ে পড়বে ততই ভাল। অন্যান্য জায়গার দলগুলি তাই উঠে আসা দরকার।”
প্রাক্তন অধিনায়ক ক্ষুব্ধ বেঙ্গালুরুতে ফুটবলার বেঙ্কটেশ খেলতে খেলতে মারা যাওয়ায়। বললেন, “ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের মৃত্যু আমাদের চোখ খুলে দিয়েছিল। তার পরেও জেলা বা রাজ্যস্তরে অনেক ম্যাচে মাঠে সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকছে না।” সবশেষে এল সচিন তেন্ডুলকরের কথা। ভাইচুং বলে গেলেন, “সচিনের একশো সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙা কঠিন। ওই জায়গায় পৌঁছতে আর এক জনের ২০০ বছর বা তারও বেশি সময় লাগবে বলে মনে হয়।” |