ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে তাঁর অবসর নিয়ে ধারাবাহিক জল্পনায় তিনি নিজে যে বেশ বিরক্ত, সেটা স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন সচিন তেন্ডুলকর। নিজের সমালোচকদের উদ্দেশে একেবারে স্বভাববিরুদ্ধ প্রত্যাঘাতে একশো সেঞ্চুরির মালিক বলেছেন, “আমার সমালোচকেরা আমাকে ক্রিকেটটা খেলতে শেখাননি। ক্রিকেট থেকে কবে সরে যেতে হবে, সেটাও ওঁদের আমাকে বলে দিতে হবে না।”
জাতীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত এ ব্যাপারে সচিনের সঙ্গে এক মত। এ দিন তিনি বলেছেন, “সচিনের অবসর নিয়ে এত কথার কোনও দরকার নেই। কবে অবসর নেবে সেটা সচিন নিজেই ঠিক করবে।” একশো সেঞ্চুরির মালিক অবশ্য আবার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাঁর মাথায় অবসরের কোনও চিন্তাই নেই। সঙ্গে যোগ করেছেন, “যে দিন মনে হবে ক্রিকেট খেলা নিয়ে আবেগ আগের তুলনায় এতটুকুও কমে গিয়েছে, সে দিনই খেলা ছেড়ে দেব।” একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সচিন আরও বলেছেন, “এই মুহূর্তে নিজের সেরা ফর্মের কাছাকাছি আছি। সমালোচকেরা অনেক প্রশ্ন তুলতেই পারেন। কিন্তু সেই প্রশ্নগুলোর জবাব ওঁদের নিজেদের কাছেই নেই।” কেন নেই, সেটারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন সচিন। বলেছেন, “কারণ ওঁদের কখনও আমার জায়গায় এসে দাঁড়াতে হয়নি। তাই আমার দশাটা ওঁরা আন্দাজ করতে পারবেন না। কী ভাবছি, আমার ভেতরে কী চলছে, সেগুলো অন্য কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব নয়।”
বিশ্বকাপের পরে অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুও তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এক দিনের ক্রিকেট থেকে তখনই কেন সরে যাচ্ছেন না। সচিন বলেছেন, “বিশ্বসেরা হয়ে সরে গেলে সেটা হয়তো রাজকীয় বিদায় হত। কিন্তু সত্যি বলছি, তেমন চিন্তা আমার মাথাতেই আসেনি।” উল্টে সচিন মনে করেন, ওই সময় এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলে তাঁকে নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের তাৎপর্য ঢাকা পড়ে যেত। বলেছেন, “আমি এখনও মনে করি তখন অবসর নিলে সেটা খুব স্বার্থপরের মতো হত। কারণ বিশ্বকাপ জেতার বিশালতার পাশে আমার অবসরটা খুব ক্ষুদ্র একটা ব্যাপার।” |