খালের উপরে বাঁধ দিয়ে রাস্তা সারাইয়ে ঢিলেমি, সমস্যা চাষে |
রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় • জয়পুর |
আমতা ২ ব্লকের জয়পুরে অমরাগড়ি বকুলতলা থেকে কলসডিহি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে মেরামত হচ্ছে। ১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কাজটি চলছে প্রায় তিন মাস ধরে। এ দিকে এই রাস্তা মেরামতের জন্য পাশের সেচ এবং নিকাশি খালে বাঁধ দিয়ে জল আটকে সেই সব খালের মাটি কেটে রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে এই খাল দিয়ে সেচের জল আসতে পারছে না। যার জেরে ঘনশ্যামচক, অমরাগড়ি, চক জনার্দন এবং দক্ষিণ অমরাগড়ি প্রভৃতি গ্রামে বোরো চাষের জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। |
চক জনার্দন গ্রামের বাসিন্দা নিমাই বেরা বলেন, “রাস্তা মেরামতের জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রচণ্ড ঢিমেতালে কাজ চলছে। কাজ না-শেষ হওয়ায় বাঁধের কাজ শেষ হচ্ছে না। এলাকায় চাষের জমিতে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, রাস্তা তৈরির কাজটি এক টানা হচ্ছে না। মাঝে মাঝে তা বন্ধ থাকছে।”
শুধু নিকাশি খালই নয়, পুকুর পাড় থেকে মাটি কেটে রাস্তার কাজে লাগানো হচ্ছে। সে জন্য পুকুরগুলি থেকে জল তুলে ফেলা হয়েছে। এর ফলে গ্রামবাসীদের স্নান করা, কাপড় কাচা, বাসন মাজা গিয়েছে বন্ধ হয়ে। সমস্যাটির কথা তাঁরা বিডিওকে জানিয়েছেন বলে গ্রামবাসীদের দাবি। অমরাগড়ি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ভরত খাঁ বলেন, “সেচের জল আটকে ১০০ দিনের কাজ চলছে। ফলে বোরো চাষের জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটা অন্যায়।” অন্য দিকে, বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান তাপস দলুই বলেন, “রাস্তা তৈরির কাজে লোক নেওয়া হয়েছে কম। ফলে কাজ শেষ করতে সময় বেশি লাগছে। তবে এ বিষয়ে কী করণীয় তা ঠিক করবেন বিডিও।” বিডিও পিনাকী সেনগুপ্তের কথায়, “২০ লক্ষ টাকা খরচ করে ১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কাজটি হচ্ছে। কম শ্রমিকের জন্য কাজটি তাড়াতাড়ি শেষ করা যাচ্ছে না। তবে খালে যে বাঁধ দেওয়ার ফলে জলের অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ, সেটি কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |