রাস্তার হাল খারাপ, সমস্যায় পাঁচলার অসংখ্য নিত্যযাত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাঁচলা |
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে তৈরি পাঁচলার রানিহাটি থেকে গঙ্গাধরপুর কালীতলা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। মেরামত না-হওয়ার ফলেই রাস্তার এই হাল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঠেকা দেওয়ার জন্য অটোরিকশা চালকেরা নিজেরাই রাস্তার গর্ত মাটি দিয়ে ভরাট করছেন।
গত ২০০৪ সাল নাগাদ রাস্তাটি তৈরি হয়। বছর দেড়েক ঠিক থাকার পরে রাস্তায় ভাঙন দেখা দেয়। মাঝখানে বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। এই বিপজ্জনক রাস্তার উপর দিয়েই জয়নগর, গঙ্গাধরপুর, গোন্দলপাড়া, কুলাই, দেউলপুর, জালালসি প্রভৃতি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এ ছাড়াও গঙ্গাধরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল, বিএড কলেজ জয়নগর হাইস্কুল প্রভৃতিতে যাতায়াত করে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী। তাদের প্রচণ্ড অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। |
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় |
পথচারী শান্তি বোধক বলেন, “ভাঙাচোরা রাস্তার উপর দিয়ে আমাদের বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়।” এই রাস্তার উপর দিয়ে শুধু অটোরিকশা নয়, সাইকেল, রিকশা, মোটর বাইক, যন্ত্রচালিত ভ্যান রিকশা, গাড়ি প্রভৃতিও চলাচল করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, খারাপ রাস্তার কারণেই প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন অনেকেই। অটোরিকশা চালক মইনুর পুরকায়েত বলেন, “রাস্তায় সব জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। অটো রিকশা চালানো বেশ সমস্যা। আমরা নিজেরাই মাটি ফেলে কিছু কিছু গর্ত মেরামত করছি।
কিন্তু এ ভাবে কী আর রাস্তার কাজ হয়?”
পাকা রাস্তার গর্তে এ ভাবে মাটি ফেলায় অবশ্য হিতে বিপরিত হয়েছে বলে মনে করেন বাসিন্দারা। স্থানীয় শিক্ষাব্রতী সন্তোষ দাস বলেন, “মাটি ফেলার ফলে দু’এক পশলা বৃষ্টি হলেই কাদা হয়ে যাচ্ছে।” এ বিষয়ে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তাটি মেরামত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের রাস্তা মেরামত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয়। টাকা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।” |