শেষ পর্যন্ত বিহার-ঝাড়খণ্ড সীমানায় আটক দুই কট্টর মাওবাদী জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’ দেখাল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। উল্লেখ্য, এই দু’জনকে ‘গ্রেফতার’ দেখিয়ে আদালতে হাজির করানোর দাবিতে সরব মাওবাদীরা দক্ষিণ বিহার-উত্তর ঝাড়খণ্ডে এই মুহূর্তে ৪৮ ঘন্টার বন্ধ পালন করছে। ধৃতরা হলেন: মাওবাদীদের স্পেশাল মিলিটারি কমিটি ও স্পেশাল এরিয়া কমিটির সদস্য সহদেব মাঝি ওরফে পারভেজ এবং জোনাল কম্যান্ডার সাকেত ওরফে সঞ্জীব।
গত কয়েকদিন ধরে বিহার ও ঝাড়খণ্ড পুলিশ যৌথভাবে বিহারের জামুই ও ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার সীমানায় অভিযান চালাচ্ছে। সেই সময়েই এই দু’জনকে যৌথ বাহিনী আটক করে। কিন্তু তাদের আটক করার বা গ্রেফতার করার কথা যৌথ বাহিনীর পক্ষে ঘোষণা করা হয়নি। মাওবাদীদের সন্দেহ ছিল, যৌথ বাহিনী তাদের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ‘এনকাউন্টার’ দেখিয়ে মেরে ফেলবে। সেই কারণেই তাদের অবিলম্বে আদালতে হাজির করানোর দাবি জানাতে থাকে তারা। চাপ তৈরির জন্য বন্ধের ডাকও দেয়। গত কাল রাতে তারা আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্গত নরগঞ্জ স্টেশনের ম্যানেজার-সহ ৩ জনকে অপহরণও করে। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ট্রেন ওড়ানোর হুমকিও দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রেল কর্তৃপক্ষ আসানসোল ও দানাপুর মেন লাইনে কাল রাতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে।
এরপরেই আজ গিরিডির পুলিশ সুপার, এ হোমকার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ওই দুই জঙ্গিকে গ্রেফতারের খবর ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিহার পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে জামুই ও গিরিডির সীমায় কয়েকটি মাওবাদী বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে কয়েকটি রাইফেল, প্রচুর ডিটোনেটর, কার্তুজ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। হোমকার জানান, সহদেব ও সাকেতকে গিরিডির তিসরি থানা এলাকার বেলাটাঁড় গ্রাম থেকে ধরা হয়। তিনি জানান, সহদেব বিহার পুলিশের ইন্সপেক্টর লুকাস টেটের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়াও বিহারের লখীসরাই জেল ভাঙা ও চিলকারি গণহত্যার সঙ্গেও সে যুক্ত। কয়েক বছর আগে মুঙ্গেরের পুলিশ সুপার সুরেন্দ্র বাবুর হত্যা কাণ্ডেও সহদেব অন্যতম মূল অভিযুক্ত। |