কারখানার পিছনে গ্রামবাসীদের জন্য দেড়শো ফুট পাকা রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। জৈব বিদ্যুৎ কারখানার নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হয়ে গেলেও রাস্তা তৈরির কোনও উদ্যোগ হয়নি। তা ছাড়া তুষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার রাতে প্রায় পাঁচশো টন কয়লা ঢুকেছে কারখানায়। এমনই সব অভিযোগে বৃহস্পতিবার কাঁকসা থানার বাঁশকোপা গ্রামের বাসিন্দারা কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, কয়েক দিনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার নিষ্পত্তি করা হবে।
বছর দুয়েক আগে জাতীয় সড়কের ধারে এই জৈব বিদ্যুৎ কারখানার নির্মাণকাজ শুরু হয়। এলাকায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কারখানার দূষণে তাঁরা জেরবার বলে অভিযোগ বাঁশকোপার বাসিন্দাদের। তাই এই জৈব বিদ্যুৎ কারখানা কোনও রকম দূষণ যাতে না ছড়ায়, তার দাবি তুলে নির্মীয়মাণ কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের মধ্যস্থতায় গ্রামের দুর্গামন্দিরে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বৈঠকে ঠিক হয়, এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার জন্য কারখানার পিছন দিকে দেড়শো ফুট পাকা রাস্তা গড়ে দেবেন কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া, কারখানা থেকে কোনও দূষণ না ছড়ানোর ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেন গ্রামবাসীরা। কর্তৃপক্ষ জানান, এখানে তুষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। কাজেই দূষণের সম্ভাবনা খুব কম। অনেক কারখানা মাটির নীচের জল ব্যবহার করায় গ্রীষ্মে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যাও দেখা দেয়। গ্রামবাসীরা দাবি করেন, নতুন কারখানা সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে মাটির নীচের জল তুলতে পারবে না।
কারখানার নির্মাণকাজ এখন প্রায় শেষের পথে। কিন্তু এখনও রাস্তা নির্মাণের কাজে হাত দেননি কর্তৃপক্ষ। তুষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। কিন্তু বুধবার রাতে কারখানা চত্বরে প্রায় পাঁচশো টন কয়লা ঢোকে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীরা কারখানায় হাজির হন। তাঁরা কারখানা কর্তৃপক্ষের হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জিত রায়, প্রদীপ রায়, অনাথ রায়েরা বলেন, “কর্তৃপক্ষ চুক্তি না মানলে আমরা আন্দোলন নামব।” কারখানার এক আধিকারিক জানান, গ্রামবাসীদের দাবি নিয়ে দিন কয়েকের মধ্যেই আলোচনায় বসা হবে। তিনি বলেন, “দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি করে ফেলা হবে।” |