সমবায়ে সঙ্কট
সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা হবে, আশা ব্যাঙ্ক প্রতিনিধিদের
ণ শোধ না করলেও চাষির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাবে না, এই ঘোষণা আইনে পরিণত করার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আশা প্রকাশ করলেন রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণায় রাজ্যে চিটফান্ড ও ‘মাইক্রো ফিনান্স এজেন্সি’র মালিকেরা উৎসাহিত হয়েছেন। রাজ্যে সমবায় ব্যাঙ্কের কর্মকাণ্ড ধ্বংসের মুখে।”
শনিবার মালদহে অষ্টম রাজ্য সমবায় কংগ্রেসে অশোকবাবু ছাড়াও ১৯টি জেলার বিভিন্ন সমবায় ইউনিয়ন ও ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২৫০ প্রতিনিধি হাজির ছিলেন। মালদহ টাউন হলে আয়োজিত ওই সম্মেলন চলবে আজ, রবিবার পর্যন্ত। সেখানে হাজির থাকা প্রতিনিধিদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, “ওই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। তা না হলে সমবায় ব্যাঙ্কের কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা থাকছে।”
রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানেরও আশা, সমবায় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন মুখ্যমন্ত্রী উপলব্ধি করবেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আমাদের করা আবেদনের ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর তরফে উত্তর পাইনি। তবে ওই ঘোষণা আইনে পরিণত করার আগে উনি পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আমরা আশাবাদী। তাঁর কাছ থেকে সুবিচারের আশায় পথ চেয়ে রয়েছি।” অশোকবাবুর সংযোজন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ডাকলে আমরা তাঁকে জানাতে চাই, সমবায় ব্যাঙ্ক উঠে গেলে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা বিপাকে পড়বেন। মনে হয়, এ সব কেউই তাঁকে বিশদে জানায়নি।”
পোস্টার দিয়ে ঋণখেলাপি কৃষকদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা তমলুকের সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে বলে সোমবার মহাকরণে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি’ (মেদিনীপুর রেঞ্জ ২) তমুলক থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্ক শিল্পে কার্যত ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। ঋণ পরিশোধের বিষয়টি কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট সব মহল। সম্মেলনে উপস্থিত সমবায় ব্যাঙ্কগুলির প্রতিনিধিদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, যাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, তাঁদের একাংশ এখন জমি, বাড়ির দলিল ফেরত চাইছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে তাঁরা হুমকি দিচ্ছেন, দলিল রাখা যাবে না। টাকা আদায় করতে গেলে ঋণগ্রহীতারা এবং তাঁদের লোকজন সমবায় কর্মীদের হেনস্থা করছেন। এই ‘পরিস্থিতি’ চললে অচিরেই সমবায় ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যাঙ্ক প্রতিনিধিরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.